OrdinaryITPostAd

টক দই খাবার উপকারিতা - টক দই খাবার নিয়ম

আপনি যদি টক দই তৈরি পদ্ধতি,খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়, টক দই কোথায় পাওয়া যায়,,টক দই এর পুষ্টিগুণ,এ সম্পর্কে জানতে যদি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে টক দই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


পোস্ট সূচিপত্রঃ টক দই খাবার উপকারিতা - টক দই এর পুষ্টিগুণ

টক দই প্রক্রিয়াজাতকরণঃ

টক দই বানানোর প্রধান উপাদান হচ্ছে দুধ ও টক লেবু। প্রথমে দুধটা ভালো করে ছেকে  নিয়ে একটা পাত্রে নিয়ে সেটা ভালো করে গরম করতে হবে। তারপর সেই গরম করা দুধ একটা বাটিতে ঢেলে ৩০ মিনিট ঠান্ডা করতে হবে। তারপর সে ঠান্ডা দুধের মধ্যে লেবু ও টক দই দিয়ে ভালো করে মিশাতে হবে। তারপর সে দইয়ের বাটিটা ২৪ ঘন্টা ফ্রিজে রাখে দিতে হবে। তারপর সে দই এর বাটিটা ফ্রিজ থেকে বের করার পর সে দই টা খাওয়ার জন্য প্রস্তুত।

টক দই খাবার উপকারিতাঃ

টক দই সারা বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খাবার কারণ টকদয়ে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ ও উপাদান।তাই বিশেষজ্ঞ বলেন,দুধের চেয়ে টক দই বেশি উপকারী। টক দই আমাদের শরীরের সৌন্দর্য ও ত্বকের সৌন্দর্য দুটোই ঠিক রাখে। তাই আমাদের দিনে একবার হলেও খাবারে টক দই রাখা উচিত। বাংলাদেশের থেকে আমেরিকাতে টক দই বেশি খেয়ে থাকে। আমেরিকার জনগণ প্রতিদিন একবার হলেও টক দই খেয়ে থাকে। 

শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে হলে আমাদের প্রত্যেককে কিছু নিয়ম -কানুন মেনে  চলতে হয় এবং তার পাশাপাশি আমাদের সকলকে আরো একটি জিনিসের দিকে খেয়াল রাখতে হয় সেটি হল খাদ্য। আর এটি হল দই , দই সকল উপকারী খাবারের অন্যতম। আর টক দইয়ে রয়েছে  ভিটামিন,মিনারেল, আমিষ এর মত উপকারী উপাদান।

টক দই রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। দুধে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে। যার ফলে এক সময় আমাদের শরীরে একপ্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। 

টক দই এর পুষ্টিগুণঃ

টক দইয়ের সাথে পরিচিত নয় পুরো পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিয়ের অনুষ্ঠান,সুন্নতে খাতনা,জন্মদিন , যাই হোক না কেন তুই আমাদের যেকোনো অনুষ্ঠানে থাকতে হবে। টক দইয়ের পুষ্টিগণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। আপনার রোদে থাকা দূর থেকে সর্বপ্রথম দই তৈরি হয়। সেটা দেখে ঘরে বসে কিভাবে দই বানাতে হয় মানুষ শিখে নিয়েছে। ইতিহাসবিদদের থেকে নেওয়া ইরান অথবা ভারতবর্ষে দইয়ের উৎপত্তি। দুই উৎপাদন শুরু হয় বাণিজ্যিকভাবে ১৯০০ সাল থেকে।

আরো পড়ুনঃ প্লাস্টিক ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত জানুন

১৯০০ শতকের আগের সময়টা আমাদের মা ও বোনেরা এটা বাড়িতে খাবার জন্য তৈরি করত। পুরো পৃথিবীতে গরু বা মহিষেরী দুধ দিয়ে শুধু দই তৈরি হয় না। আরো বিভিন্ন প্রাণীর দুধ দিয়ে দই তৈরি হয় যেমন,গাধা,ঘোড়া,ছাগল,ভেড়া,ইত্যাদি এবং সারাদেশে এইসব প্রাণীদের দুধের দই এবং মাখন খুবই জনপ্রিয় । আমরা সবাই জানি টক দই রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। নিচে কিছু পুষ্টিগুন কথা তুলে ধরা হলোঃ-

ক্যালসিয়ামে ভরপুরঃদুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। আমরা প্রতিদিনই হরলিক্সের অ্যাড দেখি আর এই হরলিক্সে ভিটামিন বি থাকে। দই এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার। দই এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকার কারণে আমাদের শরীল,দাঁত ও হাড় খুবই ভালো থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃদেহের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে টক অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। দই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে উপকারে ব্যাকটেরিয়াকে সুস্থ রাখে। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে যদি প্রতিদিন টক দই খান। টকদই আমাদের শরীরে বিষাক্ত জাতীয় পদার্থ ও টক্সিন জমতে দেয় না। আমাদের শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত জাতীয় পদার্থ বের করে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃওজন কমাতে টক দই এর ভূমিকা ও পরিসীম। আমাদের শরীরের ওজন কমাতে টক দই অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। টক দই খেলে আমাদের শরীরে আমিষের ঘাটতি দেখা যায় না ফলে আমাদের ক্ষুদা কম লাগে। এর ফলে আমাদের অন্য কিছু খেতে মন চায় না। আর অন্য কিছু না খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের ওজনটা স্বাভাবিক থাকে।

আরো পড়ুনঃ ত্বীন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃআমাদের শরীরের এক তৃতীয়াংশ রক্তচাপ কমে যায় প্রতিদিন টক দই খেলে। এই টক দই আমাদের শরীরের রক্ত চাপ কমানোর পাশাপাশি আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল এর মাত্রা ও ঠিক রাখে। টক দই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে এক চা চামচ টক দই খাওয়া হয়। তাহলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

শরীরে হাড় ক্ষয় রোধঃশরীরের হাড় ক্ষয় রোধ করতে টক দই অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। আর ভিটামিন ডি হাড় মজবুত ও দাঁত শক্ত করতে সাহায্য করে।

টক দই কোথায় পাওয়া যায়ঃ

টক দই সাধারণত বগুড়াতে বেশি পাওয়া যায়। রাজশাহীর আম যেমন পুরো বাংলাদেশ পরিচিত তেমনি বগুড়ার দই পুরো বাংলাদেশে পরিচিত। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ দই বগুড়া একাই যোগান দেয়। বগুড়া জেলায় প্রচুর পরিমাণে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বাস করে এবং তারা প্রচুর পরিমাণে গাভী পালন করে সেই গাভী থেকে প্রচুর পরিমাণ দুধ পাওয়া যায়। আর সেই গাভী থেকে বিপুল পরিমাণে দই উৎপাদন করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪