ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম ,জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের সমস্ত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান বা তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি পড়া সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্রের সমস্ত খুঁটিনাটি সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র - ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম
- জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার ধাপসমূহ
- ভোটের আইডি কার্ড অনলাইন কপি
জাতীয় পরিচয় পত্র -
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড হল একজন ব্যক্তির সেই দেশের
নাগরিকত্ব প্রমাণ। জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড প্রত্যেক দেশের
বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাদের একটি প্রমাণ পত্র। এর জন্য একজন ব্যক্তিকে জাতীয়
পরিচয়পত্র দেয়া হয়।
বাংলাদেশের যে কোন কাজে বা অফিস ও আদালতে যে কোন কাজের জন্য ওই
ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড চেক করা হয়।
তাই প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তির একটি জাতীয়
পরিচয়পত্র থাকা উচিত।
ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম-
আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য এখন অনলাইনে পেতে পারেন জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড। আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যখন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন থেকে চেক করবেন তখন জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটা লাগবে।
আরো পড়ুন -ওয়ালেট নাম্বার মানে কি
আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পূর্বে অনলাইনে আছে কি না তা সবার আগে চেক করে নিতে পারেন । আপনি যদি আপনার অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান তাহলে আপনাকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। আপনি যদি নিজে নিজেই আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চান বা ভোটার আইডি কার্ডের দেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের বর্ণনা গুলো লক্ষ্য করুন।
এই নিয়ম অনুসরণ করে কম্পিউটারের পাশাপাশি মোবাইলেও আপনি ভোটার আইডি কার্ড বার জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের কপি পেতে চান তাহলে মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়ুন।
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার ধাপসমূহ -
বর্তমান সময়ে যেকোনো সময় আমরা চাইলে নিজের ঘরে বসেই জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারি। আজকে আমি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে কপি ডাউনলোড করার নিয়ম কয়েকটি ধাপে ভাগ করেছি যাতে করে আপনি খুব সহজে সেটি ডাউনলোড করতে পারেন এবং সেটি খুব সহজে ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুন - বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সহজ উপায়
আপনি যে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড টি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন, সেই জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যে সকল তথ্য আমাদের প্রয়োজন হবে তার নিচে দেওয়া হল -
- জাতীয় পরিচয় বা ভোটের আইডি কার্ডের নাম্বার/ভোটার স্লিপের নাম্বার
- জন্ম তারিখ মাস/বছর
- মোবাইল নাম্বার জাতীয় পরিচয় পত্র করার সময় যে নাম্বার দেওয়া হয়েছিল
- বর্তমান ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল
- যে ব্যক্তি জাতীয় পরিচয় পত্র সে উপস্থিত থাকতে হবে
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য এই সকল তথ্য দিয়ে আশা করা যায় অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করা যাবে। যে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সে ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটো ডাউনলোড করতে পারবেনা।
ভোটের আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড -
আমার মনে হয় আপনি এখন অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড
অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য একদম প্রস্তুত। আপনার অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড
বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য যে সমস্ত তথ্য প্রয়োজন সেগুলো সব
আমাদের হাতেই আছে।
প্রথম ধাপ ঃ জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার ওয়েবসাইটে প্রবেশ -
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি বের করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তারপরে আপনাকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে আপনি সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য নিবন্ধন -
আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আমাদের কিছু তথ্য সেখানে দিতে হবে। যেহেতু আপনার জাতীয় পরিচয় ভোটার আইডি কার্ডে এর আগে নিবন্ধন ওয়েব সাইটে একাউন্ট করা ছিল তাই এ রেজিস্ট্রেশন বাটনে চেপে পরবর্তী ধাপের দিকে যেতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই -
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করার এ
পর্যায়ে এসে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের দিতে তথ্য দিতে হবে। এ সময়ে
এসে আপনার ভোটার আইডির কার্ডের নাম্বার অথবা ভোটার আইডি কার্ড
তৈরি করার সময় ফর্মে যে নাম্বারটা দিয়েছিল সে নাম্বারটা প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি আমাদের দেখানো নিয়মগুলো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি কিছু তথ্য প্রদান করার জন্য একটি ফরম দেখতে পাবেন। এখানে প্রথমে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের একটি ঘরে রয়েছে আপনাকে সেই ফর্মে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় নাম্বারটি ইনপুট দিতে হবে।এভাবে জন্মের তারিখ দিন , মাস , ও বছর দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে তারপর আপনাকে সাবমিট করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ ঃ ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই -
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে কপি ডাউনলোড করার আগে ধাপ গুলি সঠিকভাবে প্রদান করা হলে আপনাকে এখন বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে। এ পড়যায়ে আপনাকে প্রথমে বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা চিহ্নিত করতে হবে।
যদি আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা আলাদা আলাদা হয় তাহলে আপনি আলাদা আলাদা ভাবে তথ্য প্রদান করতে পারেন।আর আপনার যদি বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয় তাহলে আপনি সে ঠিকানায় ব্যবহার করতে পারেন।
পঞ্চম ধাপঃ ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডে মোবাইল নাম্বার যাচাই -
আমি আশা করছি আপনি আমার দেখানো প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে পূরণ করেছেন। যদি আপনি
সবকিছু সঠিকভাবে দিয়ে থাকেন তাহলে ভোটের আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র
ডাউনলোড আপনাকে আপনার মোবাইল নাম্বার চাওয়া হতে পারে এবং আপনার সে
মোবাইল দিয়ে আপনার মোবাইল নাম্বারটি ভেরিফাই করতে হবে।
আপনি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার সময় এই যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেই নাম্বারটিতে একটু এসএমএস দেওয়া হবে। ওই এসএমএসে একটি ছয় সংখ্যার কোড থাকবে। এসে কোডটি আপনাকে খাতায় লিখে রাখতে হবে।যদি আপনি কোনো কারণবশত নাম্বারটি হারিয়ে যায় বা নাম্বারটি মনে রাখতে না পারেন তাহলে আপনার সে নাম্বারটির পরিবর্তে আপনি আরেকটি নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন।
ষষ্ঠ ধাপঃ জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড-
অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য যার
আইডি কার্ড তাকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। উপরে সমস্ত তথ্য গুলো সঠিকভাবে
দেওয়ার পর এখন আপনাকে আপনার ফেস ভেরিফিকেশন এর কথা বলা হবে।
তারপরে আপনাকে আপনার মোবাইল ফোনের প্লে স্টোর থেকে NID WALLER অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে। এরপরে আপনি যা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে চান তার ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে। আপনি আপনার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড সহ ভোটার আইডি কার্ডের সকল তথ্য দেখতে পাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url