OrdinaryITPostAd

ই-পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম -ই-পাসপোর্টের সকল খুঁটিনাটি

আপনি যদি ই - পাসপোর্টের ফরম পূরণের নিয়ম - ই -পাসপোর্টের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ই - পাসপোর্টের ফরম পূরণের নিয়ম - ই -পাসপোর্টের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বলে আমি মনে করি।


পোস্ট সূচিপত্র - ই - পাসপোর্টের ফরম পূরণের নিয়ম - ই -পাসপোর্টের সুবিধা অসুবিধা 

  • 111 ই -পাসপোর্ট কি
  • ই- পাসপোর্ট তৈরির সুবিধা 
  • ই- পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা
  • ই - পাসপোর্টের জন্য যে কাগজপত্র লাগবে
  •  ই -পাসপোর্ট তৈরি করতে কত টাকা ও সময় লাগবে

ই -পাসপোর্ট কি -

 ই পাসপোর্ট হল এমন একটি পাসপোর্ট যাতে বায়োমেট্রিক্স এমবেডেড ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ লাগানো আছে।ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য বা পাসপোর্ট বানানো ব্যাক্তির পরিচয় পত্র জানার জন্য বা শনাক্ত করানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। ই- পাসপোর্টে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ ,কম্পিউটার চিপ সহ নানান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।


ই -পাসপোর্ট এর গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য সবকিছু চিপে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ই পাসপোর্ট এর বর্তমান সময়ে যে সকল বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয় তা হল- ওই ব্যক্তির ছবি, হাতের ফিঙ্গারপ্রি , চোখের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি। পাসপোর্ট চিপ ইলেকট্রনিক ভাবে সংরক্ষিত ডাটা যাচাই করা হয় পাবলিক কি অবকাঠামের মাধ্যমে।ই -পাসপোর্ট সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা গেলে জালিয়াতি  চক্রের সংখ্যা অনেক কমে আসবে। বর্তমান সময়ে পুরো পৃথিবীতে ১২৫ টি দেশে ই পাসপোর্ট ব্যবহৃত হচ্ছে।

ই- পাসপোর্ট তৈরির  সুবিধা -

কাগজপত্রের সত্যায়িত থেকে মুক্তি - একটা সময় ছিল আমাদের পাসপোর্ট করার জন্য অনেক কাগজ পাতি সত্যায়িত করতে হতো যেমন ছবি,ভোটার আইডি কার্ড,জাতীয় পরিচয় পত্র,জন্ম নিবন্ধন কার্ড,সার্টিফিকেট,এডমিট কার্ড ,নাগরিকত্ব ইত্যাদি। এসব কাগজ পত্র গোছাতে ও সত্যায়িত করতে দীর্ঘ সময় লেগে যেত।  এতে আমাদের অনেক সমস্যা হতো। ই- পাসপোর্ট ব্যবহার করার জন্য আমাদের কোন কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হয় না।

লাইনে দাঁড়ানো - পাসপোর্ট করে দিতে সমস্ত কাগজ পাতি তৈরি হওয়ার পর। পাসপোর্ট এদের জন্য আবেদন করার জন্য আমাদের এক দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এতে আমাদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া লাইনে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় চলে যেত এবং মাঝে মাঝে লাইনের মধ্যে মারামারিও হট্টগোল দেখা দিত। আমরা ই -পাসপোর্ট ব্যবহার করার জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় কোন লাইনে দাঁড়াতে হয় না।

দালাল থেকে মুক্তি - আপনি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সরকারি দপ্তরে দালাল পেয়ে যাবেন। আপনি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা কাজ করতে দালাল  লাগবে যেমন জন্ম সনদ তৈরি করতে,জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে,জন্ম নিবন্ধন কার্ড তৈরি করতে,ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে ইত্যাদি। অনেক মানুষ আছে এসব কাজ করতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে তার সব কিছু হারায়। ই -পাসপোর্ট ব্যবহার করার কারণে আমরা ঘরে বসেই খুব পাসপোর্ট তৈরি করতে পারি করতে পারি।

 ঘুষ - বর্তমানে সময়ে বাংলাদেশ কোন কাজেই আপনি ঘুষ ছাড়া করতে পারবেন না। আপনি বাংলাদেশে প্রত্যেকটা কাজ করতে আপনার ঘোষ লাগবে চাকরি ,ব্যবসা জন্ম সনদ তৈরি,পাসপোর্ট তৈরি ,জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি। এইসব কাজ আপনি কখনোই ঘুষ ছাড়া করতে পারবেন না। কিন্তু বর্তমান সময়ে ই- পাসপোর্ট ব্যবহার করার কারণে আপনি ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।

ই -পাসপোর্ট ব্যবহারের সুবিধা - 

এমআরপি যন্ত্রের মাধ্যমে একজন যাত্রী ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে খুবই দূরত্ব খুবই দ্রুত তার যাত্রাই পৌছাতে পারে। কিন্তু বর্তমানে ই পাসপোর্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ভ্রমণকারী ব্যক্তি খুবই দ্রুত ও খুবই সহজে ই গেটের মাধ্যমে নিজে নিজেই  ইমিগ্রেশন কমপ্লিট  করে দেশের বাইরে যেতে পারে। যার ফলে বিমানবন্দরে ভিসা চেকিং , এর মত সমস্যার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না। এর ফলে সে ব্যক্তি খুবই দ্রুত তার গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ইলেক্ট্রনিক গেট বসানো হয়েছে। যে কোন ভ্রমণকারী যে কোন ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ধারি একটি নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট পাঞ্চ করে। ইলেকট্রনিক গেটের সামনে দাঁড়ালে সেখানে লাগানো ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ছবি তুলে নেই। এরপরে ইলেকট্রনিক গেটের মনিটরের সামনে নিজ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ধরি নিজে নিজেই প্রিমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারেন।

যদি সেই ব্যক্তির বিদেশ যাওয়া নিষিদ্ধ হয় বা সে কোন অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে তার সমস্ত তথ্য ও ছবি মিলে না যায় তাহলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে না। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ই পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন নারী পুরুষ উভয়ই কোন মানুষের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজেই ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করতে পারবে। এই পুরো ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগবে।

পুরো পৃথিবীর বুকে ই -পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এর চেয়ে নিরাপত্তা ও অত্যাধুনিক পাসপোর্ট এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। ই -পাসপোর্ট পুরো পৃথিবীতে ১২৬ একটি দেশে ব্যবহার করে থাকেন

ই - পাসপোর্টের জন্য যে কাগজ পত্র লাগবে - 

ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট করতে যে যে কাগজ পাতি আমাদের প্রয়োজন সেগুলো হল - জাতীয় পরিচয় পত্র,জন্ম নিবন্ধন সনদ,সার্টিফিকেট,এডমিট কার্ড,আবেদনকারী ব্যক্তি যদি ১৮ বছরের নিচে হয় তাহলে তার বা- মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। এ কাগজে রসাথে আর যে কাগজপত্র লাগবে সেগুলো হল 

ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এর ফরম এমআরপি থেকে কিছুটা ভিন্ন করা হয়েছে।৯০ ধরনের তথ্য চাওয়া হতে পারে আবেদনকারীর কাছে থেকে। ফরমে পাসপোর্ট এর বয়স কাল ও পাসপোর্টটি লাল লালকত পৃষ্ঠা হবে তথ্য জানতে চাওয়া হবে। এছাড়া কোন ব্যক্তির যদি পাসপোর্টের অতীব জরুরী হয়ে পড়ে তাহলে সে ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এনে অধিদপ্তরে আবেদনের সাথে জমা দিতে পারে।

এতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ফরমে প্রি - পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নম্বরটি যোগ করতে হবে। ই -পাসপোর্ট আবেদন করার সময় ক্লিয়ারেন্স এর কফি জমা দিতে হবে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এর আবেদন অনলাইনে অথবা পিডিএফ এর মাধ্যমেও ফরম পূরণ করা যাবে। কোন প্রকারের ছবি প্রয়োজন হবে না আবেদনের ফরমে। বাংলাদেশ ই -পাসপোর্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে  ১২০ তম। তাছাড়া দক্ষিণ এশিয়া একমাত্র  প্রথম দেশে হিসাবে গণ্য।

 ই -পাসপোর্ট তৈরি করতে কত টাকা ও সময় লাগবে - 


৪৮ পাতার  এবং ৫ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট হাতে পেতে সময় লাগবে
  • নিয়মিত বিতরণ .৪৮০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ১২ দিন
  • জরুরী বিতরণ. ৬৫৫০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ৭ দিন
  • অতীব জরুরী বিতরণ .৮০০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ৩ দিন
৪৮ পাতার এবং ১০ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট হাতে পেতে সময় লাগবে
  • নিয়মিত বিতরণ .৫৫০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ১৩ দিন
  • জরুরী বিতরণ .৭৫০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ৮ দিন
  • অতিব জরুরী বিতরণ. ১১০০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ১ দিন
৬৪ পাতার এবং ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট হাতে পেতে সময় লাগবে
  • নিয়মিত বিতরণ . ৯৫০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ১০ দিন
  • জরুরি বিতরণ . ১১৫০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ৬ দিন
  • অতীব জরুরি বিতরণ . ১৪৫০০ টাকা, হাতে পেতে সময় লাগবে ১ দিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪