OrdinaryITPostAd

কোরবানি দেওয়ার নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে

আপনি যদি কোরবানি দেওয়ার নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলেকোরবানি দেওয়ার নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে এই সম্পর্কে বিস্তার ধারণা পাবেন। বলে আমি মনে করি।

পোস্ট সূচিপত্র - কোরবানি দেওয়ার নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে

  • কোরবানি দেওয়ার ইতিহাস
  • কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া জায়েজ
  •  কোরবানির ঈদের দিন পুরুষের করণীয়
  •  কোরবানির ঈদের দিন নারীদের করণীয়

কোরবানি দেওয়ার ইতিহাসণ  - 

কোরবানি এমন একটি ইবাদত যা মানব ইতিহাসের সূচনা থেকে চলে আসছে। যা মহান আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা ও সন্তুষ্টির জন্য। কোরবানি শব্দের অর্থ হচ্ছে ত্যাগ ও আল্লাহর ভালোবাসা। কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির বা আল্লাহ ভালবাসার জন্য জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে 12 তারিখ সকাল পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট জন্তু জবাই করা। মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফে বলেছেন, 'পৃথিবীর সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি।

আরো পড়ুন - ই- পাসপোর্ট এর ফরম পূরণের নিয়ম - ই পাসপোর্ট এর সুবিধা ও অসুবিধা

আমি পৃথিবীতে যত পশু সৃষ্টি করেছি। কোরবানি দেয়ার সময় যেন আল্লাহর নামটি উচ্চারণ করা হয় (সূরা হজ্জ আয়াত-৩৪)। এই পৃথিবীতে সবার প্রথমে কোরবানি দিয়েছিল আদি পিতা হযরত আদম (আ.) এবং পুত্র হাবিল ও কাবিল(রা:)। বাবা হযরত আদম(আ.) তার পুত্রকে বললেন, তোমরা আল্লাহর নামেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কুরবানী করো, যার কোরবানি আল্লাহর কাছে কবুল হবে , তার সমস্ত দাবিও দেওয়া আল্লাহ কবুল করবেন।

এরপর পুত্র হাবিল ও কাবিল(রা:) তাঁরা দুজনই কোরবানি দিলেন । আল্লাহর কাছে হাবিল (রা:) এর কোরবানি কবুল হলো। আল্লাহতালা এ প্রসঙ্গে বলেন, হযরত আদম(আ.) সন্তানদের কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানান। কারণ হাবিল ও কাবিল(রা:) দুজনেই কোরবানি দিল কিন্তু একজনেরটা কোরবানি আল্লাহর কাছে কবুল হলো আর একজনেরটা হলো না কেন। আল্লাহ তাআলা অবশ্যই মুক্তাকিনদের কোরবানি কবুল করেন (সূরা মাদানী আয়াত - ২৭)।

আল্লাহর কাছে কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য তাকওয়া ও খোদাভেতির প্রয়োজন। পৃথিবীর কোন ব্যক্তির লোক দেখানো কোন ইবাদতই আল্লাহ তায়ালা কবুল করে না। পবিত্র কোরআনে কোরবানির ইতিহাস এভাবে এসেছে, হে আমার মহান আল্লাহ তায়ালা , হে আমার প্রতিপালক। আমাকে একটা নেক সন্তান সন্তানদি দান করুন। তারপর আল্লাহ তাকে একটি নেক সন্তান দান করলেন। যখন সে পুত্র পিতার সাথে কাজ করার মতো তৈরি হয়ে উঠলো।

তখন হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার পুত্রকে বললেন, হে পুত্র । স্বপ্নে আমি দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করেছি। তোমার মত কি। হযরত ইব্রাহিমের পুত্র বলল 'হে আমার পিতা'। আপনি যা ভাল মনে করবেন তাই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আল্লাহ সন্তুষ্ট লাভে ও ভালোবাসার জন্য আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। তখন তারা পিতা ও পুত্র দুজনেই অনুগ্রহ প্রকাশ করল এবং হযরত ইব্রাহিম(আ.) তার পুত্রকে কাজ করে শোনালেন।।

আরো পড়ুন - তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায়

এ সময় আল্লাহ হযরত ইব্রাহিম সাঃ কে ডাকলেন, হে ইব্রাহিম! আপনি তো স্বপ্নে যা দেখেছেন তাই পালন করলেন। এভাবে আমি আমার প্রিয় ব্যক্তিদের ও সৎ কর্মশীলদের পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এটা ছিল আমার পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা আর আপনি সেই পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমি এক মহান কোরবানির বিনিময়ে তাকে মুক্তি করলাম। এটা পরবর্তীতে আমি স্মরণে রেখে দিলাম। শান্তি ও শুভেচ্ছা মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে (সূরা সাফাত আয়াত. ১০০- ১১০)

আজকাল বর্তমান সময়ে মুসলিম সমাজে কোরবানি নিয়ে যে প্রথা চালমান আছে, সে সম্পর্কে সাহাবারা  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আমার রসূল! কোরবানি কি কোরবানি কোথা থেকে এসেছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উত্তরে বললেন, কোরবানি হলো না তোমাদের আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম(আ.) এর আদর্শ ও সুন্নাহ। মহান আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব করেছেন, এসব আদেশকে অনুসরণ করার জন্য।

তাছাড়া হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরও বললেন, তোমরা কোরবানি  দেওয়ার জন্য তোমরা এক একটি পশমের জন্য এক একটি নেকি পাবে। মুমিন বান্দা তার কোন ইবাদতে অন্য কাউকে শরিক করবে এই পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষকে ইবাদত করতে হবে মহান আল্লাহ তাআলার জন্য, কোন মুমিন বান্দা তার কোন ইবাদতে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে শরীক করে না। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মুমিন ব্যক্তির ইবাদত হতে হবে শিরক মুক্ত। প্রত্যেকটি মন ব্যক্তি ইবাদত করবে শুধু আল্লাহর জন্য।

আরো পড়ুন - জমজম কূপের পানি পানির উপকারিতা

হযরত ইব্রাহিম(আ.) কে মহান আল্লাহ তাআলা সে শিক্ষাই দিয়েছেন।হযরত ইব্রাহিম(আ.) বলেছেন, আমার সমস্ত ইবাদত,কোরবানি,নামাজ,রোজা,হজ ,যাকাত আমার প্রতিপালক মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য। এই আয়াত থেকে বোঝা যায় কোরবানি শুধু আল্লাহর উদ্দেশ্য ও ভালোবাসার পাওয়ার  জন্য দিতে হবে। কোন সামাজিক ও অলৌকিক উদ্দেশ্যে নয় (সূরা হজ্জ আয়াত .৩৭)। 

 হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের,ধন-সম্পদ ,টাকা-পয়সা,স্বাস্থ্য -চেহারা ,বাড়ি -গাড়ি দেখবেন না।দেখবেন শুধু তোমাদের আমল। সুতরাং, তোমরা কুরবানির দেওয়ার আগে তোমরা তোমাদের মন,নিয়ত আত্মা,সংকল্প পরিষ্কার করে নিও বা শুদ্ধ করে নিও।

কোন কোন পশু কোরবানি দেওয়া জায়েজ - 

এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য পশু-পাখি সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে সবগুলো কুরবানী দেওয়া জায়েজ নয়। এই পৃথিবীতে যেসব পশু কোরবানি দেওয়া যায় সেগুলো হল -ভেড়া,ছাগল,দুম্বা,গরু ,মহিষ,উট ইত্যাদি। শুধু এই ছয় প্রকারের পশু দিয়ে কুরবানী করতে হবে। কোন হালাল বন্য পশু হলেও যদি তাকে কেউ লালন পালন করে তাও কোরবানি দেওয়া যাবে না।

কোরবানির ঈদের দিন পুরুষের করণীয় - 

একজন পুরুষের কোরবানির ঈদের দিন প্রথম কাজ হলে ঘুম থেকে উঠে ওযু করে মসজিদে যাওয়া। ওযু করে মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে ফরজ সালাত আদায় করা। তারপরে  নামাজ থেকে বাড়িতে এসে ফরজ গোসল সেরে নেওয়া , অজু করা মিসওয়াক করা। গোসল করা হয়ে গেলে নতুন জামা ও পায়জামা পরা। এরপর আতর- সুগন্ধি লাগিয়ে। দোয়া পড়তে পড়তে ঈদগায়ে যেতে হবে সালাত আদায় করার জন্য।

তারপর ফরজ সালাত আদায় করে করতে হবে এবং একে অপরের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। কোরবানি ঈদের দিন কোন কিছু খাওয়া যাবেনা । কোরবানির ঈদের দিন প্রথম খেতে হবে কোরবানির মাংস দিয়ে। এরপর কোরবানি করতে হবে কোরবানি করা হয়ে গেলে গোস্ত সবার মধ্যে বন্টন করতে হবে।

কোরবানির ঈদের দিন নারীদের করণীয় -

কোরবানির ঈদের দিন নারী প্রথমে ঘুম থেকে উঠে ওযু করে ফরজ নামাজটা আদায় করে নিবে। তারপরে ঘরে সমস্ত কাজ করে নিবে যেমন ঘর গোছানো , ঘর ঝাড়ু দেওয়া , দুপুরে ঘরকে পরিষ্কার করা। তারপর গোসল ছেড়ে নেওয়া । গোসল করার পর সবার জেনে খাবার তৈরি করা । এরপর ঈদের ফরজ নামাজ আদায় করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪