OrdinaryITPostAd

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে

আপনি যদি কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন বললে আমি মনে করি। তাছাড়া কোরবানি দেয়ার সকল খুঁটিনাটি সম্পর্কেও জানতে পারবেন।


পোস্ট সূচিপত্র - কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে 

  • কোরবানি দেওয়ার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
  • কোরবানি করা মুসলিম উম্মাহর আদর্শ ও ঐতিহ্য 
  • কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে 
  • কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম
  • কোরবানি দেওয়া ফরজ না ওয়াজিব

কোরবানি দেওয়ার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - 

কোরআন শব্দটি উর্দু ও ফারসিতে ব্যবহার হলেও। আরবি শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে কবর বা কুরবান শব্দটি। যার অর্থ হল আল্লাহকে সন্তুষ্টি করা , আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া। কোরবানি হলো সেই মাধ্যম যে মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি ও ভালবাসা পাওয়ার জন্য জিলহজ মাসের ১১ তারিখ থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত কোরবানির নিয়তে গরু,মহিষ,উট,ছাগল, ভেড়া,গড়াল জবাই করাটাই হলো কোরবানি।

একদিন কিছু লোক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জিজ্ঞেস করল কুরবানি কি। জবাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, কোরবানি দেওয়া হযরত ইব্রাহিমের (রা:) সুন্নাহ।  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কোরবানি দেয় তাহলে তার শরীরের এক একটি রোমের বিনিময়ে এক একটি নিকিত দেয়া হবে। মহান আল্লাহ তাআলার নির্দেশ নির্ধারিত দিনে কোরবানি করা মুমিন মুসলিমদের জন্য।

আরো পড়ুন - গরুর মাংস খাবার  উপকারিতা ও অপকারিতা- গরুর মাংস খেলে কি পেশার বাড়ে

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআন শরীফে বলেন , 'তুমি নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে' (সূরা কাউসার আয়াত ২)। এ আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর সবাইকে কোরবানি ও নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার জীবনে সবচেয়ে দুইটি ইবাদত বেশি করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেমন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছেন তেমনি প্রতিবছর কোরবানিও দিয়েছেন।

হযরত আনাস(রা:) বলেন ,হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) খুবই সুন্দর দুই শিং বিশিষ্ট সাদা ও কালো রংয়ের দুইটি দুম্বা কোরবানি করেছেন(বুখারী ও মুসলিম)। হযরত ইবনে(রা:) বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ১০ বছর মক্কা মদিনাতে ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) দশ বছর মক্কায় থাকাকালীন তিনি প্রতিবছর পশু কোরবানি দিতেন (তিরমিজি)।

সমাজে সামর্থ্য থাকার পরেও যারা কোরবানি করে না তাদের উপর নবী করা হুঁশিয়ারি করেছেন। হাদিসে এসেছে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) 'সমর্থ্য থাকা পরেও যে ব্যাক্তি কোরবানি করে না ঈদের দিন সেই ব্যক্তি যেন ঈদগায়ের ধারে কাছেও আসে না'( ইবনে মাজাহ)। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কোন বছরই কোরবানি দেয়া থেকে বিরত থাকেনি। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যেমন কুরবানী দিয়ে মানুষকে কোরবানি দিতে উৎসাহ জোগা দেন এবং জুম্মার দিন বক্তব্য দিয়ে কোরবানির প্রতি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

আরো পড়ুন - কোরবানি দেওয়ার নিয়ম কানুন - কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে

 হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র কোরআন শরীফে আরো বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে কোন পশু জবাই করে সে আসলে নিজেকে জবাই করে। আর যদি কোন ব্যক্তি ঈদের নামাজের পর পশুর জবাই করে এবং সেই পশুর মাংস খায়। এটা মুসলমানদের নিয়ম অনুসারী হয়(সহি বুখারী)।হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেছেন, কোরবানি করা হলো কোরআন সুন্নাহ নির্দেশ ও পালনীয় ইবাদত।

কোরবানি করা মুসলিম উম্মাহর আদর্শ ও ঐতিহ্য  - 

অতি প্রাচীন কোরবানির ইতিহাস। কোরআনে শিশু হাবিল ও কাবিল এর ঘটনা তার প্রমাণিত। ইসলাম ধর্মে প্রথম কোরবানি এটি। শিশু হাবিল প্রথম মানুষ, যিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটু পশু জবাই বা কোরবানি করেন। পবিত্র কোরআন থেকে জানা যায়, শিশু হাবিল একটি ভেরা ও শিশু কাবিল কিছু ফল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিয়ে যায়। ১৪০০ বছর আগে আল্লাহর নির্ধারিত কোরবানি দেওয়ার শরীয়ত ছিল আকাশ থেকে আগুন নেমে আসবে।

যার কোরবানি আল্লাহর পছন্দ হবে ওই কোরবানিটা আগুন জ্বলে উঠবে। তারপরে মহান আল্লাহ তায়ালা নবী ও রাসূল, মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম  (সাঃ)  স্বপ্নে দেখালেন তাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে হবে, আল্লাহর নির্দেশে আল্লাহর নামে তুমি তোমার প্রিয় বস্তুটিকে কোরবানি করো। হযরত ইব্রাহিম(সাঃ) সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়িতে থাকা ১০ থেকে ১২ টি উট আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসার জন্য জবাই করলেন। 

আরো পড়ুন - জমজম পানি পানের উপকারিতা

কিন্তু আবার মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত ইব্রাহিম(সাঃ) কে প্রিয় বস্তু কোরবানি দিতে বলেন।হযরত ইব্রাহিম(সাঃ) পরের দিন আবার ১১০ থেকে ১২০ কিউট কোরবানি দিলেন। তারপরেও হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আবার কুরবানী দিতে বলেন। তারপরে হযরত ইব্রাহিম সাল্লাহু সাল্লাম কোরবানির আদেশ পেয়ে ভাবলেন। আমার কাছে তো সবচেয়ে প্রিয় জিনিস আমার প্রতি ইসমাইল আলাইহিস সাল্লাম।

আমার কাছে এটা ছাড়া আর কোন প্রিয় বস্তু নেই।হযরত ইব্রাহিম(সাঃ) হযরত ইসমাইল(সাঃ) কে কোরবানি দেওয়ার জন্য মিনারের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।হযরত ইব্রাহিম(সাঃ) তার পুত্র হযরত ইসমাইল(সাঃ) কোরবানি দেওয়ার জন্য সুতি চালালেন। কিন্তু হযরত ইব্রাহিম সাঃ দেখলেন পুত্র হযরত ইসমাইল(সাঃ)  কোন ক্ষতি হয়নি, তার পাশে অন্য আরেকটি বস্তু কোরবানি হয়ে গেছে।

এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে সাক্ষী রেখে সারা বিশ্বে মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতিবছর কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহা পালন করে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখ হতে 12 তারিখ পর্যন্ত মুসলিম উম্মার জন্য কোরবানি করা নির্ধারিত। এই দিনটিতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আল্লাহর ভালোবাসার জন্য কুরবানী করে থাকেন। কোরবানি অনেক নেকিপূর্ণ এবাদত।

অর্থ খরচ করে ও স্বার্থ ত্যাগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আল্লাহর ইবাদত ও কোরবানি করতে হয়। কোরবানি না দিয়ে কোরবানির টাকা যদি গরীব দুঃখীদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয় তাহলে কি কুরবানী হবে না এটা একদমই হবে না। কারণ কোরবানি হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসার পাওয়ার একমাত্র উপায়। পশু জবাই দেওয়া 

কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে  - 

পৃথিবীর প্রত্যেকটা মুসলিম জাতির কোরবানি করা ফরজ। মহান আল্লাহ তায়ালা ধনী-গরীব সবাইকে কোরবানি করতে বলেছেন। এখানে কোন টাকার কথা বলা হয়নি যে এত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হবে। আপনার কাছে যদি টাকা না থাকে তাহলে আপনি ধার করে নিয়েও কোরবান দিতে পারেন তাও কুরবানী দিতে হবে আপনাকে। এটা মহান আল্লাহ তাআলা  নির্দেশ।

কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম - 

পশু কোরবানি দেওয়ার পর পশুর মাংস তিনভাগ করতে হবে, এক ভাগ দিতে হবে গরিব-দুঃখীদের, এক ভাগ দিতে হবে আত্মীয়-স্বজনদের,আর এক ভাগ রাখতে হবে নিজেদের খাবার জন্য।

মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি ও ভালবাসার জন্য কোরবানি করতে হবে এবং কোরবানি মাংস বন্টন একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম আমাদেরকে বলে গেছে যেমন,তোমরা কোরবানির মাংস তিনটা ভাগ করবে। কোরবানির মাংস এক ভাগ রাখবে নিজেদের পরিবারের খাবার জন্য,এক ভাগে রাখবে প্রতিবেশীদের জন্য,একভাগ রাখবে গরিব -  মিসকিনদের জন্য।

কোরবানি দেওয়া ফরজ না ওয়াজিব - 

পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষকে আল্লাহ কোরবানি দিতে বলেছেন। কিন্তু আমরা জানি না কোরবানি দেওয়া সুন্নত ফরজ না ওয়াজিব। আজকে আমরা সেই বিষয়ে জানব। প্রথমত কোরবানি দেওয়া হলো ওয়াজিব। আর দ্বিতীয়ত হল কুরবানী দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪