OrdinaryITPostAd

পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ-গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়


আপনার যদি এটা নিয়মিত গ্যাস হয়। অর্থাৎ আপনি যদি গ্যাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহ থাকেন। তাহলে আপনি যদি এই আর্টিকেলটা পড়েন তাহলে গ্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।



পোস্ট সূচিপত্র ঃপেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ-গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়

 পেটের গ্যাস কেন হয় ঃ

যদি আপনি মনে করেন যে অন্য মানুষের তুলনায় আপনার বেশি গ্যাস তৈরি হয় , কিছু বিশেষ কারণ থাকতে পারে এর পেছনে। এর কারণে আপনার পেটে গ্যাস ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।

নিঃশ্বাসে বেশি বাতাস গ্রহণের ফলে ঃআমরা প্রতিনিয়তই শ্বাস নি ও শ্বাস ছাড়ি আর কোন ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় যদি বাতাস আপনার অন্ত্রে পৌঁছাই । তবে এর কারণে আপনার পেটে গ্যাস ও ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এর জন্যই আমাদের প্রতিনিয়ত শ্বাস নেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে এবং শ্বাস নেওয়ার সময় আস্তে আস্তে শ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে হবে। তাহলে আমরা গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

আরো পড়ুন ঃ চুলের যত্নে মেহেদি পাতার উপকারিতা

খারাপ অভ্যাসঃআমাদের কিছু খারাপ অভ্যাসের  কারণেও আমাদের মুখে বেশি বাতাস চলে যায় দেখা যায় এর কারণেও গ্যাসের সৃষ্টি হয় । উদাহরণস্বরূপ , পান চেবানো , চুইংগাম চিবানোর সময় আমরা প্রতিনিয়ত বাতাসে গিলে খাচ্ছি এর কারনে দেখা দেয় গ্যাসের সমস্যা । আর আপনার যদি চুইংগাম , পান , ও কলম বা অন্য কিছু শিবানের অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি  অতিরিক্ত বাতাস নিচ্ছেন আপনার পেটে যা ভবিষ্যতে গ্যাস তৈরি করতে পারি ।

তরল পানীয় ঃআমরা প্রতিদিন নানান তরল পানি পান করে থাকি যেমন , টাইগার , স্পিড , সেভেন আপ  , প্রান আপ , স্পাইট , বিয়ার , মাউন্টেন ডিও , সোডা , বা যেকোনো বুদবুদ যুক্ত পানীয় পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে। যদি আপনি কার্বনেটেড পানীয় পছন্দ করেন এবং যদি আপনার সব সময় গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাহলে তরল পানির পরিবর্তে সাধারণ পানি পান করার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন অবশ্যই।

ঘুমানোর সময় মুখ খোলা রাখ ঃআপনি জেগে থেকে দিনের বেলা মুখ দিয়ে বাতাস না নিলেও , আপনি ঘুমের সময় মুখ খোলা রাখার কারণে অতিরিক্ত বাতাস আপনার পেটে প্রবেশ করে। ঘুমানোর সময় যদি আপনি আপনার মুখ খোলা রেখে শ্বাস নেন তাহলে আপনি প্রচুর বাতাস গিলে ফেলেন । তার কারণে পরের দিন আপনার শরীরে দেখা যায় গ্যাসের সমস্যা 

খাদ্যের কারণে ঃবাইরের খাবার হতে পারে আপনার গ্যাসের সৃষ্টির কারণ। তাছাড়া আরও কিছু খাবার হতে পারে আপনার পেটে গ্যাস তৈরিতে । যেমন , মোটরসুটি , ব্লকলি , শাক , গোটা শস্য , তাছাড়া আঁশযুক্ত খাবার আপনার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে । আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে , ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজে রাখলে পেটে গ্যাস কম হয়। 

আবার অনেক সময় দেখা যায় কোন খাবার ঠিকঠাক মত হজম না হওয়ার কারণে ফু দিলে গ্যাসের সৃষ্টি হয় , যেমন অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার , অনেকে আছে যাদের শরীরে সহনীয় না তার ফলে শরীরে গেছে সৃষ্টি হয় । তার জন্য আমাদের সব সময় তেল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত।

পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ  ঃ

বাঙালি আর গ্যাস যেন সমার্থক। এই গ্যাসের সমস্যাই অনেকে ভুগছেন ।আর এই গ্যাসের সমস্যার জন্য একের পর এক মডার্ন মেডিসিনের ঔষধ বাজারে আপনি পেয়ে যাবেন । চলুন বন্ধুরা আজকে কিছু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম জেনে নেই যেগুলো খেলে তৎক্ষণা আপনি গ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন।

  • ANTACID
  • OMERPRAZOLE
  • ESOMEPRAZOLE
  • PANTOPRAZOLE
  • LANSOPRAZOLE 
  • RABEPRAZOLE
  • LOSECTIL
  • MAXPRO
  • FINIX 20
  • OPTON 20
  • ACIFIX
  • ESORAL 20
  • PARICEL 20
  • PPI 20
  • MAXIMA 20
  • XELDRIN 20
  • DEXLAN 30
  • XOREL 20
  • RABE 20
  • EXIUM 20
  • PANTONIX 20
  • ZO-MUPS 20
  • REMMO 20
  • SERGEL 40

গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায় ঃ

যেকোনো সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় অন্যতম । আর আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করেন তাহলে কোন সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না । গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় এর পাশাপাশি নানান ধরনের ব্যায়াম জানতে হবে ।

ফাইবার যুক্ত খাবার খায় ঃমানুষ বর্তমান সময়ে পেট ফাঁপা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই নানান সমস্যা   ভুকতে দেখা যায়। তাই আমাদের প্রতিদিন আমাদের খাবারে ফাইবার বা আশযুক্ত খাবার যোগ করতে হবে। যেমন , ওটমিল  ,সিম  ,মোটর  ,ডাল , বালি (কমলা আপেল ও গাজর ) এই আঁশযুক্ত খাবার উপকারিতা অনেক যা আমরা সকলেই জানিনা। এই আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কম রাখে , ওজন কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন ঃ  চিনি খাবার উপকারিতা ও চিনির ক্ষতির দিক

গরম পানি দিয়ে গোসল করা ঃপেটের সমস্যা খুবই দূরত্ব চলে যাবে যদি শীত বা গরমে গরম পানি দিয়ে গোসল করা যায়। আমেরিকার এক গবেষণা দেখে গেছে হালকা গরম পানি পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এমনকি পেটে ব্যথা কমাতেও। এবং আপনার শরীরে কোন গ্যাস জমতে দেয় না । প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পেটের উপর চাপ কমে যা পেটের নানান সমস্যা দূর করে।

গ্যাসের সমস্যায় মধু পানঃআমরা অনেকেই জানিনা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে মধু অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করতে প্রতিদিন সকালে ২চ চা-চামচ এবং রাতে  ২ চা চামচ মধু খেলে অনেকাংশে গ্যাস্টিকের সমস্যার সমাধান হয়ে যায় । আর আমরা যদি আমাদের শরীর থেকে একেবারে পেটে ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চাই তাহলে আমাদের প্রতিদিন মধু খাওয়া ব্যর্থতা মূলক।

দারুচিনি ঃপেটের সমস্যা দূর করতে দারু চিনি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে । দারুচিনি অনেক ভালো কাজ করে পেটের ব্যাথা ভালো করতে হবে। প্রথমে  দারু চিনি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানিতে ২ থেকে ৩ চা চামচ মধু দিয়ে কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খেলে আশা করা যায় পেটে ব্যথা ও গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আদা ঃপেটে ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাই আদার ভূমিকা অপরিসীম। অনেক ভালো একটি প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে আদা পেটের ব্যথা বা গ্যাস এর সমাধানের জন্য। খুবই সহজেই পেটে যাবতীয় সমস্যা আদার রস  দূর করে দেয় । তাছাড়া গরম পানিতে চা আদা ও মধু খাওয়া যেতে পারে। লেবুর সাথে এর সাথে আদা মিশিয়ে খেলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলে আমি মনে করি। এটি পেটে ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি বদহজম এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।

পানি ঃআমাদের প্রতিদিন বেশি বেশি করে পানি পান করা উচিত যখন আমাদের পেটে ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। পানি আমাদের পেটের পচন শক্তিকে ভালো করতে সাহায্য করে। তাছাড়া বদহজম এর সমস্যা দূর করতেও পানি আমাদের সাহায্য করে । যার ফলে প্রতিদিন আমাদের ৮ থেকে ১০ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত বল আমি মনে করি ।

খাবার পর ঘুমাতে যাওয়া ঃখাবার শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথে ঘুমাতে যাওয়া এটা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে  গ্যাস সৃষ্টি হতে। আমাদের প্রায়সই দেখা যায় আমরা খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমোতে চলে যাই যার ফলে খাবার হজম হতে পারে না যার ফলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের প্রতিদিন খাওয়া শেষ হওয়ার পরে ৮ থেকে ১০ মিনিট হাটাহাটি করা । যার ফলে আমরা পেতে পারি গ্যাস থেকে মুক্তি।

তেল জাতীয় খাবার ঃআমাদের ঘরে এবং ঘরের বাইরে তেল যুক্ত খাওয়ার থেকে দূরে থাকতে হবে। তেল আমাদের পেটে হজমের সমস্যা করে এবং অতিরিক্ত চর্বি জমাতেও সাহায্য করে । তার জন্যই আমাদের সকলকে ঘর এবং ঘরের বাইরে তেল জাতীয় যত খাবার আছে তা থেকে দূরে থাকা উচিত। আশা করছি আমরা যদি তেল জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারি তাহলে আমাদের পেটের ব্যথা ও গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি ।

শাক ও সবজি ঃঅনেক শাক সবজি আছে যেটা পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে । যেমন , ব্রকলি  ,ফুলকপি  ,বাঁধাকপি ,পালং শাক ইত্যাদি। এইসব শাকসবজি আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের সৃষ্টি করে। আমাদের এসব খাওয়া থেকে সব সময় দূরে থাকা উচিত । আমি আশা করছি আমরা যদি প্রতিদিন এসব খাওয়ার থেকে দূরে থাকতে পারি তাহলে আমরা গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি সারা জীবনের জন্য ।

পেটের গ্যাস বের করার ব্যায়াম ঃ

বাইরে খাবারের ঝোক দেখা যায় বর্তমান বেশিরভাগ মানুষেরই। যার কারণে বেশিরভাগ মানুষই পেটের গ্যাসের বা নানানসমস্যায় ভুগছেন। পেটে গ্যাস হওয়া পেটে নানান সমস্যার মধ্যে অন্যতম। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে প্রতিটি মানুষ কেই। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেমন অনেক ধরনের ব্যায়াম রয়েছে । তেমনি পেটকে পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য রয়েছে নানান ধরনের ব্যায়াম।

বর্তমানে পেটের সমস্যা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মাসাজ এবং ব্যায়াম রয়েছে। যার ফলে পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি লাভ করা যায় খুবই সহজে।

পেট মাসাজ করা ঃপেটে গ্যাস হলে পেটের উপর খাঁটি সরিষার তেল ও রসুন মিশিয়ে সেটা গরম করে ধীরে ধীরে পেটে মালিশ করুন এর ফলে গ্যাসের সমস্যা খুবই দ্রুত ভালো হয়ে যাবে এবং সমস্ত গ্যাস পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে যাবে । এটা সকালে ও ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে হবে।

মাসাজ করার নিয়ম ঃপ্রথমে আপনার ডান হাতটি পেটের উপর রাখতে হবে । এরপর পেটে গ্যাস হওয়ার স্থানে গোল গোল করে মাসাজ করতে হবে । এটি সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন করতে হবে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ও ঘুমানোর আগে পিঠে ভালো করে মেসেজ করে নিতে হবে এর ফলে আশা করা যায় গ্যাসের সমস্যা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

যোগ ব্যায়ামঃআমেরিকার এক গবেষণা দেখে গেছে পেটে গ্যাসের সমস্যা ও পেট ফাঁপা সমস্যা একদিন কমিয়ে দেয় । পেটের পেশির ব্যায়াম হয় হাটা বা যোগ এরমাধ্যমে । এর ফলে পেট থেকে খুবই দ্রুত গ্যাস বেরিয়ে যায়। যার ফলে কিছুক্ষণ পরেই আপনার শরীর হালকা মনে হবে ।

আরো পরুন ঃ মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

হাটা ঃআমরা প্রত্যেকে জানি সকালে হাঁটলে আমাদের শরীর ভালো থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না হাটাহাটি করলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার দূর হয়ে যায়। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রতিদিন সকালে ও ঘুমানোর আগে কিছু সময় হাটাহাটি করত হবে। এতে আমাদের শরীরে সমস্ত গ্যাস পায়ুপথ দিয়ে বেরিয়ে যাবে। আর আমরা যদি প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করি তাহলে আমরা খুবই জলদি গ্যাস থেকে মুক্তি পাবো।

পেটে গ্যাস হলে কি কি সমস্যা হয় ঃ

পেটে গ্যাস সৃষ্টি হলে দেখা দেয় নানান সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম হলো পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয় , পেট ফুলে যাই , সারাদিন না খেলেও কোন কিছু খাইতে মন চায় না , আমাদের শরীর আরো ভারী হয়ে যায় , দেখা দিতে পারে আরো নানান সমস্যা। তার জন্য আমাদের সব সময় জাতীয় খাবার  থেকে দূরে থাকা উচিত ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪