OrdinaryITPostAd

তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায় - তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়

এই তীব্র গরমে বা দাবদাহে থেকে কিভাবে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবেন। এই সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে আমি বলছি আপনি গরমে কিভাবে শরীরকে সুস্থ রাখা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।


পোস্ট সচিপত্র - তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায় - কিখেলে শরীর ঠান্ডা থাকে

  • তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায় 
  • হিটস্ট্রোক হলে করণীয়
  • কি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে
  • তীব্র গরম নিয়ে মহানবি (সাঃ) হাদিস -

তীব্র গরম থেকে বাঁচার উপায় - 

বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে মে মাসকে সবচাইতে গরমের মাস বলা হয় । অন্যান্য সময় থেকে এই দুই মাসে গরমের তীব্রতাটা অনেক বেশি থাকে। বাংলাদেশের সাধারণত এই পৃথিবীর মাসের শুরু হওয়ার সাথে সাথেই গরম পড়তে শুরু করে। ঘরের বাইরে প্রচন্ড রোদের উত্তাপ ও ঘরের ভেতর গুমত অবস্থা। মানুষের জীবন নষ্ট করে দেয়। বর্তমান সময়ে বৈশাখ মাসে শুরুতেই ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাই। যেটা সব সময় দেখা যায় না। এর মধ্যে আবার মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চল যায়।

আরো পড়ুন - জমজমের পানি পানির উপকারিতা

ঢাকা শহর ঢাকা শহরের বাইরে প্রায় বেশ কয়েকদিন হলে বৃষ্টি নেই বললে চলে। যার কারণে গরমের তীব্রতাটা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই তীব্র গরমে অনেকেই নানান রোগে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে যেমন পানি শূন্যতা,স্টোক,আমাশা,ডায়রিয়া,এলার্জি,দাউদ,হজমে সমস্যা ইত্যাদি। তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় শিশু ও বয়স্কদের। রোজার সময় গরম টা বেশি থাকে তার জন্য আমাদের সবসময় সচেতন থাকা উচিত।

এই তীব্র গরমে থেকে বাঁচার উপায় নিচে তুলে ধরা হলো - 

চোখ মুখে পানি দেওয়া - তীব্র গরমে যদি আপনার খুবই অস্বস্তি অস্বস্তি বোধ হয় তাহলে আপনি পানি দিয়ে চোখ ও মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি পারেন তাহলে সকালে ও বিকেলে গোসল করে নিতে পারেন।তাহলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে।

চা ও কফি এড়িয়ে চলা - বন্ধুরা গরমে চা ও কফি সব সময় এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ চা ও কফি খাওয়া হয় শরীরকে গরম করতে। কিন্তু আপনি যদি তীব্র গরমে যদি আপনি কফি খান তাহলে আপনার শরীরকে আরো গরম করে তুলতে পারি এতে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আরো পড়ুন - বসে পানি পানিতে উপকারিতা

অতিরিক্ত গরমে বাইরে না বেরোনো  - এই তীব্র গরমে বা দাবদাহে খুবই প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে না বেরোনো ভালো। রোজার পরে ঈদ তার জন্য অনেকে দোকানে বা শপিংমলে যাচ্ছে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য। তীব্র গরমে বা দাবদাহে ঘর থেকে বাইরে বের হলে সব সময় ছাতা রাখা উচিত এবং গাছের নিচে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা উচিত।

মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা - এই তীব্র গরমে বা দাবদাহে থেকে বাঁচতে ভাজাপোড়া বা মসলা জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর পরিমাণে তেল। যেটা স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয় যেটাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তীব্র গরমে বা দাবদাহে পানি শূন্যতা থেকে বাঁচতে আমাদের সবসময় পানি ও  পানী জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

 বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা - আমাদের অনেক সময় বাইরের খাবার খেয়ে থাকে যেমন সিংগারা,সমুচা,জিলাপি,পুড়ি,মোগলাই,মুরি মেশানো,বুট ভাজা,ধনিয়া পাতা,বরা ভাজা ইত্যাদি। এসব খাবার তৈরি করার সময় কোন স্বাস্থ্য বিধি মেনে তৈরি করে না। আর এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তেল এবং এসব খাবার শরীর থেকে তরল পানি চুষে নেই। তীব্র গরমে বা দাবদাহে আমাদের প্রয়োজন পানি ও জাতীয় খাবার ও ফল।

রমজান মাসে বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ বাইরে থেকে খাবার ক্রয় করে। এইসব বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে দেখা যায় ডায়রিয়ার মত রোগ । সুতরাং আমাদের বাইরের খাবার থেকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।

লবণ খাওয়া - তীব্র গরমে বা দাবদাহে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘামের সাথে লবন বেড়ে যায়। এসব লবণ অভাব প্রদান করতে । আমাদের প্রতিদিন সকালেও রাতে এক গ্লাস পানির সাথে ৩ চা চামচ লবণ মিস করে পানি পান করা উচিত। এতে আশা করা যায় লবণের অভাবটা পূরণ হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন - খাবার আগে বিসমিল্লাহ বলার ফজিলত

সবুজ শাক -সবজি  - তীব্র গরমে বা দাবদাহে বাঁচতে আমাদের প্রতিদিন সবুজ শাক-সবজি খাওয়া উচিত। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনির ও মিনারেল উপাদান। আপনি যদি প্রতিদিন বেশি বেশি করে সবুজ সাগর সবজি খেয়ে থাকেন তাহলে তীব্র গরমে বা দাবদাহে আপনার শরীর দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

সুতির পাতলা কাপড় পরা - এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে পাতলা সুতি কাপড় ও ঢিলেঢালা কাপড় পড়া উচিত এতে শরীরে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে ও গরম বাতাস শরীরে লাগতে দিবে না। এই তীব্র গরমে আমরা অতিরিক্ত মোটা ও টাইট কাপড় পড়ে থাকে এতে শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে দেখা দেয় হিট স্ট্রোকের মত সমস্যা। এই তীব্র গরমে যা অতিরিক্ত আর রোদে থাকে বা যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তাদের হিট স্ট্রোকে বেশি হয়।

হিটস্ট্রোক হলে করণীয় - 

  • এই তীব্র গরমে যদি কারো হিট স্ট্রোক দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের জীবিকা নির্ভয় জন্য বেশিরভাগ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয়। এতে সারাদিন আমাদের রোদের মধ্যেই কাজ করতে হয়। এতে দেখা দেয় হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা।
  • আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে এই তীব্র গরমে আমরা মোটা ও টাইট জামা প্যান্ট পরে। এই তীব্র গরমে মোটা ও টাইট জামা কাপড় পরে একদম ঠিক নয়। কোন ব্যক্তির যদি কারো হিটস্ট্রোক এর মত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে শরীরের সমস্ত জামা কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
  • যদি কোন ব্যক্তি হিটস্ট্রোক এর লক্ষণ দেখা দেয় তাকে সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে পানি খেতে হবে। যদি সে ব্যক্তি পারে স্যালাইন খেতে পারে।
  • এ তীব্র গরমে যদি কোন ব্যক্তি মাথা ঘুরে পড়ে যায় তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাত ও পায়ে বগলে কাঁধে সব স্থানে বরফ দেওয়া উচিত।
  • এইসব ব্যবস্থায় যদি সেই ব্যক্তি উন্নতির না হয় তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই পার্শ্ববর্তী হাসপাতাল বা মেডিকেলে নিতে হবে।

কি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে - 

 তীব্র গরমে বা দাবদাহে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য কিছু ফলের নাম নিচে দেওয়া হল - 

বাঙ্গি - বাংলাদেশে যত ফল আছে তার মধ্যে বাঙ্গি খুবই সহজ লভ্য একটি ফল। বাঙ্গি ফলটি দামেও খুবই সস্তা এবং সব স্থানে পাওয়া যায়। এই তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গি খুবই উপকারী একটি ফল। বাঙ্গিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ও পটাশিয়াম। যেটা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তাই আপনি এই তীব্র গরমে প্রতিদিন বাঙ্গি খেতে পারেন। তরমুজ

ডাবের পানি - এই তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ডাবের পানি থেকে ভালো কিছু খাবার হতে পারে না। ডাবের পানি দিতে এসে প্রচুর পরিমাণে আমি ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম। যেটা আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখে সবসময়।

তরমুজ - তীব্র গরমে শরীরকে পানি জোগাতে ও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে আরেকটি ফলের নাম হচ্ছে তরমুজ। তরমুজ ৯৫ শতাংশতেই পানি রয়েছে। তরমুজে আরো রয়েছে ভিটামিন, লবন ও খনিজ পদার্থ। যেটা আপনাকে এই গরমে স্বস্তি দিবে। তার জন্য রোজার মাসে ও গরমের সময় আপনি খাবার টেবিলে তরমুজকে রাখতে পারেন।

শসা - তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও শরীরে পানি জোগাতে শসার ভূমিকা অপরিসীম। শসাতে ৯৭ শতাংশ পানি রয়েছে যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাছাড়া শসাতে রয়েছে মিনারেল ও খনিজ পদার্থ। এ গরমে আপনি খাদ্য তালিকায় শশার সালাত রাখতে পারেন।

তীব্র গরম নিয়ে মহানবি (সাঃ) এর হাদিস - 

তীব্র গরম নিয়ে হাদিসের ব্যাখ্যা হলো  তীব্র গরমে বা দাবদাহে আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। আবু হুরাইয়া(রা:) থেকে বর্ণিত, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলে, 'জাহান্নাম আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে বলে, আমার এক অংশ অংশকে খেয়ে ফেলেছে'। মহান আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামকে দুইটা নিঃশ্বাস ফেলতে বলেন।একটি নিঃশ্বাস হল শীতকাল ও আরেকটি নিঃশ্বাস হলো গ্রীষ্মকাল।

এর জন্য তোমরা গরমের তীব্রতা ও শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো । (বুখারী শরিফ.৩২৬২) মরুভূমি অঞ্চলে উত্তপ্ত বালু ও  তীব্র গরমে বা দাবদাহে কারণে সেখানে ভীষণ গরম দেখা দেয়। এর জন্য  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জোহরের সালাতটি কিছু সময় পরে পড়তে বলেন। এর জন্য সব সময় গরম বেশি পড়লে জোহরের ফরজ নামাজ দেরিতে পড়া সুন্নত।

আবু জার(রা:) বলেন, এক সময় যাত্রা করার সময় আমরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাথে ছিলাম। জোহরের ওয়াক্ত হওয়ার কারণে মোয়াজ্জিন সাহেব যোহরের আযান দিতে চেয়েছিল। তখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলে উঠলেন, গরম কমতে দাও। কিছুক্ষণ পরে মুয়াজ্জেম সাহেব আজান দিতে চাইলে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আবার বললেন, গরম কমতে দাও।

এভাবে কথা বলতে বলতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সালাত দেরি করে পড়লেন। তারপর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, প্রচন্ড গরম হলো জাহান্নামের উত্তাপ থেকে আসে। কাজেই তোমরা পর্যন্ত গরম পড়লে কখনই সালাত আদায় করবে না। গরম কমার পর সালাত আদায কি করবে (বুখারী শরীফ.৫৩৯)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪