আপনি কি ভোটের আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে চান? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি পড়া সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ,ভোটের আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার সকল খুঁটিনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র- ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম-ভোটার আইডি কার্ডের
নাম সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে -
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারণত প্রয়োজন
হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন কপি,ড্রাইভিং
লাইসেন্স,পাসপোর্ট ,সার্ভিস বইয়ের কপি , বিয়ের কার্ডের নামা , পিতা ও
মাতার ভোটার আইডি কার্ড ও সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড এই সব কাগজ
গুলো দিয়ে আপনি যেকোনো সময় আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন
করতে পারবেন।
সাধারণত সংশোধনের অনুযায়ী ,গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আলাদা হয়ে থাকে।
সংশোধনের ধরন অনুসারে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট নিচে দেওয়া হল-
নাম সংশোধন - এসএসসি বা এইচএসসি সমমানের সার্টিফিকেট, জন্ম
নিবন্ধন সনদপত্র,পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স,বিবাহিতদের কাবিন
নামা,সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র,পিতা -মাতার ভোটার আইডি কার্ড।
জন্ম তারিখ সংশোধন - এসএসসি বা এইচএসসি সমমানেরসার্টিফিকেট ,জন্ম
নিবন্ধন সনদপত্র ,পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স,বিবাহিতদের কাবিন নামা, এমপিও
সিট ।
আরো পড়ুন - ওয়ালেট নাম্বার কি? ওয়ালেট নাম্বার মানে কি
পিতা মাতার নাম সংশোধন - এসএসসি বা এইচএসসি সমমানের
সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র,পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স,বিবাহিতদের
কাবিন নামা,সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র,পিতা -মাতার ভোটার আইডি কার্ড।
এ ক্ষেত্রে চাকরিজীবীদের অফিসের প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র,ভাই ও বোনের
জাতীয় পরিচয় পত্র
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে -
ভোটার আইডি কার্ড বাজাতে পরিচয় পত্র সংশোধন করতে ২৫০ টাকা ফ্রি
প্রয়োজন। তাছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধের জন্য ১৫০ টাকা ফ্রি
প্রয়োজন। তাছাড়া উভয় ধরনের ভুল সংশোধনের জন্য ৩৫০ টাকা
প্রয়োজন। আপনি এই টাকাটা রকেট,বিকাশ,নগদ কোন মাধ্যম দিয়ে পরিষদ
করতে পারবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করার নিয়ম -
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার জন্য সবার প্রথমে
আপনাকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এখানে আপনার
জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, জন্ম তারিখ ,ভোটের আইডি কার্ডের
ঠিকানা দিয়ে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তারপরে একাউন্ট লগইন
করে প্রোফাইল থেকে এডিটিং বাটনে ক্লিক করে সমস্ত তথ্যগুলো সংশোধন করতে
হবে।
এরপর আপনাকে সংশোধন ফি রকেট,বিকাশ,নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যম দিয়ে পরিষদ করতে
হবে। আপনার আবেদনটি অনুমতি পেলে তথ্য সংশোধন হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করবেন তা নিচে
দেওয়া হল। এই প্রক্রিয়াগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন আপনি নিজে নিজেই ভোটার
আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।
প্রথম ধাপ - প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি তুলে
নিন -
ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন করার জন্য সবার
আগে আপনার প্রয়োজন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি
তুলে নেওয়া। কারণ সব কাগজ আসল টা দিতে হয় না কিছু কিছু
কাগজ ফটোকপি দিতে হয় ভোটার আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য।
দ্বিতীয় ধাপ - জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
-
আপনার যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের সাইটে যদি
রেজিস্ট্রেশন করা থাকে তাহলে আপনি সরাসরি ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ও
পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। আপনার যদি রেজিস্ট্রেশন না করা হয় তাহলে সবার আগে
আপনার রেজিস্ট্রেশন অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করা উচিত।
তৃতীয় ধাপ -তথ্য সংশোধন করুন -
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের অ্যাকাউন্ট লগইন করার পর
প্রোফাইলে অপশনে যান।
এখানে সাধারণত তিন ধরনের তথ্য দেওয়ার রয়েছে, যেমন ব্যক্তিগত তথ্য,অন্যান্য
তথ্য,বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা । আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
করতে চান তাহলে এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবং আপনি সব তথ্য সংশোধন করার
জন্য নিচে অপশন পাবেন।
আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যটি সংশোধন করতে
চান, নিচে সেই অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনি আপনার ভুল তথ্য গুলো ভোটার আইডি
কার্ডের সাথে মিল দেখে সঠিকভাবে সংশোধন করুন। তারপরে আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক
করুন।
আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ভুল সংশোধন করার
সময় আগে ও পরে তথ্যটি আপনি দেখতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপ - ভোটার আইডি কার্ডের সংশোধন ফি প্রদান করুন
-
এখন আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ভুল তথ্য ধরন
অনুযায়ী আপনাকে ফি প্রদান করতে হবে। আপনাকে একটা দেখে খেয়াল রাখতে হবে,
আপনি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে এতক্ষণ যা করেছেন তা ক্লোজ বা বন্ধ
করা যাবে না। ফি প্রদান করেই আপনাকে আপনার আবার আবেদনের বাকি কাজ সম্পন্ন
করতে হবে।
বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি
কার্ডের সংশোধন ফি জমা জমা দেওয়ার নিয়ম -
আপনি আপনার বিকাশ বা নগদের অ্যাপস থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি
কার্ডের সংশোধন ফি জমা জমা দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিকাশ
বানগদের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিতে হলে বিকাশ ও নগদের অ্যাপস একাউন্ট লগইন করতে
হবে। তাছাড়া আপনি নিচে ধাপগুলো অনুসরণ করুন -
- প্রথমে পে বিল অপশনে যেতে হবে
- সরকারি ফি বাটনে ক্লিক করতে হবে
- ভোটার আইডি কার্ড বা NID সার্ভারে যেতে হবে
- আপনাকে আপনার NID নাম্বারটি ইংরেজিতে লিখতে হবে
- আপনি আপনার আবেদনের ধরনটি যাচাই করুন
- আপনি বিকাশ বা নগদের একাউন্টের নাম্বার দিয়ে ফ্রি পরিশোধ করুন
আপনার যদি ফ্রি পরিশোধ করা হয়ে যায় তাহলে, আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের
বাNID ওয়েবসাইটে আবার ফিরে যান এবং সমস্ত প্রমাণ দিয়ে আবেদনটি সাবমিট
করুন।
পঞ্চম ধাপ - আবেদন সাবমিট ও ডকুমেন্ট আপলোড -
আপনাকে প্রথম ধাপেই প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টে স্ক্রিনশট দিয়ে,ছবি তুলে না
হয় লিখে রাখতে হবে। এখন আপনাকে সমস্ত তথ্য দেওয়ার পর আবেদন সাবমিট
করতে হবে। আপনি আপনারজাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের যে তথ্য
পরিবর্তনের জন্য আবেদন ফি জমা দিয়েছেন, তা সহ আপলোড দিতে হবে।
আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সবথেকে ভালো প্রমাণ
হলো শিক্ষাগত সনদ,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স,ট্রেড লাইসেন্স,তা ছাড়া জন্ম
নিবন্ধন সনদ সবগুলো আপলোড করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ - জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড -
আপনি আবেদনটি সাবমিট দেওয়ার পর,মোবাইল বা কম্পিউটারের ড্যাশবোডে ফিরে আসুন। আপনি
কম্পিউটার বা মোবাইলের উপরের দিকে আবেদন ডাউনলোড করার জন্য একটি লিংক
দেখতে পাবেন। আপনি লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি
কার্ড সংশোধন ফর্ম ডাউনলোড করে নিজের কাছে রেখে দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url