OrdinaryITPostAd

সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝাযায় -প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

 আপনি যদি সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝাযায় -প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই চান তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি পোস্টটি পড়া সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝাযায় -প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা পাবেন। বলে আমি মনে করি।

পোস্ট সূচিপত্র - সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝাযায় -প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ

  • সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায়
  • কোন সময়ে সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
  • সহবাসের কত দিন পর নারী গর্ভবতী হয়
  • সহবাসের পরও গর্ভধারণ হয় না কেন
  • সহবাস করার পর কতক্ষণ শুয়ে থাকতে হয়
  • গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ 

সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায় - 

আপনি যদি সঠিক নিয়ম ও সময়ে সহবাস করেন তাহলে আপনার স্ত্রী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি জানতে চান, সহবাসের কত দিন পর নারী গর্ভবতী হয়। আশা করি আপনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। একটি নারী গর্ভবতী হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হল,সঠিক নিয়মে সহবাস,নারীর শারীরিক সুস্থতা , পিরিয়ড,এই দিনগুলোতে উপর নির্ভর করে।

আরো পড়ুন - অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ

তবে শুরুতেই একটি বিষয়ে আপনাকে জেনে নিতে হবে। একজন নারী ও একজন পুরুষ যখন সহবাস করে। তখন একজন পুরুষের শুক্রাণু সেই নারীর ডিম্বাণুতে প্রবেশ করে । এই শুক্রাণু ডিম্বাণুতে প্রবেশ করার পর সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৭ দিন বেঁচে থাকে। একজন নারী যখন  কোন পিরিয়ড হয়। সে নারীর ১৪ তম দিনে কোন প্রকারের সুরক্ষা ছাড়া বা কনডম ছাড়া সহবাস করে। তাহলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেই নারী।

কোন সময়ে সহবাস করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে - 

আমরা আজকে একজন নারী পুরুষ সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সবার আগে আমি আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই কোন সময় সহবাস করলে দ্রুত প্রেগন্যান্ট হওয়া যাবে। আর এই বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সবার আগে জানতে হবে। পৃথিবীর প্রত্যেকটা মেয়েরই মাসিক হয় বা একটি বিশেষ মাসিক চক্র থাকে। একটিমেয়ে মাসিক হয় বা একটি বিশেষ মাসিক চক্রের অপর নির্ভর করে একটি নারী গর্ভবতী  হয়ে থাকেন।


আর এই বিষয়টির ওপর পৃথিবীর প্রত্যেকটি বিজ্ঞানী ব্যাখ্যা দিয়েছেন। একটি নারীর  সাধারণত মাসে ৭ থেকে ৮ দিন মাসিক হয়। একটি নারীর মাসিক বন্ধ হওয়ার ১০ থেকে ১৭ দিন পর পর্যন্ত একজন নারীর গর্ভধারণ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হিসেবে ধরা হয়। এ সময় যদি একজন নারী ও একজন পুরুষ সঠিক নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে সহবাস করে তাহলে সেই নারীর গর্ভধারণের ক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যায়।


কিন্তু আপনার সব সময় একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত। একজন নারীর মাসিক শেষ হওয়ার পর ১৭ থেকে ১৮ দিন পর একজন নারী গর্ভবতী হবে কিন্তু বিষয়টি নয়।  কিন্তু একজন নারী পুরুষ সঠিকভাবে  সহবাস করার পরও এই সময়টাতে গর্ভবতী না হতে পারে। তাছাড়া আপনি অন্য কোন নারীর দিকে তাকালে ভিন্নতাও দেখতে পাবেন। এই পৃথিবীর কোন ডাক্তারই কোন গ্যারান্টি দিতে পারবেনা যে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর সহবাস করলে স্ত্রী গর্ভবতী হবে।

সহবাসের কত দিন পর নারী গর্ভবতী হয় - 

এবার আমি মূল বিষয়টা নিয়ে খুব ভালোভাবে আলোচনা করব। এটি হলো সহবাসের কত দিন পর ১ জন নারী গর্ভবতী হয়। আপনি যদি এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে চান তাহলে তাহলে আপনাকে বিষয়টি খুবই বিস্তারিত ভাবে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি বোঝাতে হবে। তাহলে আপনি জানতে চান যে সহবাসের কতদিন পর আপনার স্ত্রী বা নারী গর্ভবতী হয়।

একজন নারী মাসে সাত থেকে আট দিন পিরিয়ড হতে পারে একজন নারীর একবার পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর পরবর্তী পিরিয়ড শুরু হওয়ার সময় পর্যন্ত। তখন কিন্তু সে নারীর ডিম্বাণু গুলো পূর্ণাঙ্গ ও প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে। যার কারণে যখন কোন নারীর সাধারণভাবে পিরিয়ড শুরু হয়।তখন একজন নারী জরায়ুতে থাকা ডিম্বাণুগুলো উৎপাদন করতে শুরু করে।আর আমরা সবাই ভালো করে জানি যে আর একজন নারীর জড়ায়ুতে পূর্ণাঙ্গ ডিম্বাণ সর্বোচ্চ ১৩ থেকে ২৫ দিন বেঁচে থাকে।

আরো পড়ুন - গরম থেকে বাঁচার উপায়

তবে আমাদের মাঝে প্রশ্নে এটা থেকে যাচ্ছে যে, সহবাসের কতদিন পর একজন নারী গর্ভবতী হয়। এ প্রশ্নই আমি আপনাদের সকলকে একটা কথা বলব যে। যদি কোন নারীর পিরিয়ড শুরু  হয়। আর পিরিয়ড চলাকালীন যদি সেই নারী ৮ থেকে২০ দিনের মাথায় সহবাস করে তাহলে । সেই নারীর গর্ভবতী বা মা হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় বা বেড়ে যায়। আসল কথা হলো এই যে যদি কোন নারীর মাসিক হয়ে থাকে। মাসিক হওয়ার পর থেকে সহবাস শুরু করে তাহলে গর্ভধারণের ক্ষমতা পাঁচ গুণ বেড়ে যায়।

সহবাসের পরও গর্ভধারণ হয় না কেন - 

একজন স্বামী ও স্ত্রী প্রতিদিন সহবাস করার পরও যদি সেই গর্ভবতী না হয় তাহলে এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে বা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বন্ধ্যাত্বের সমস্যা। যদি কোন নারী পুরুষের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব রোগের দেখা দেয় তাহলে সেই নারী পুরুষ সন্তান ধরনের ক্ষমতা থাকে না।সেই সমস্যা দূর করার জন্য সব আসে করার বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। আর আমাদের প্রত্যেকটা নারী পুরুষের এই সকল নিয়ম কানুন মেনে চলা উচিত। 

আর আমাদের সকলের উচিত এই সকল নিয়ম কানুন গুলো মেনে সহবাস করা। যাতে একজন নারী পুরুষ সহবাস করার পর নারী গর্ভধারণ করতে পারে। আমি আশা করি অল্প সংখ্যক তথ্য দিয়ে একজন নারী কেন গল্প ধারণ হয় না সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি। আসলে এগুলোর বাইরেও আরো অনেক কারণ আছে সেগুলো আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব।

সহবাস করার পর কতক্ষণ শুয়ে থাকতে হয় - 

আমরা যারা বাচ্চা নিতে চাই সহবাস করার পর আমাদের সকলের মনে একটা প্রশ্ন থাকে সহবাস করার পর কতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে হয়। এক্ষেত্রে আমি বলব বিছানে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শুয়ে থাকা উচিত। একজন নারী পুরুষ সহবাস করার পর পুরুষের পুরুষের বীর্য  যেন আপনার স্ত্রী জরায়ুর মধ্যে খুব সহজেই প্রবেশ করানো যায়।তার জন্য সহবাস করার পর বালিশের মাথা ও পা দিয়ে শুয়ে থাকুন । 

সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায় - 

একজন স্বামী স্ত্রী যদি সঠিক নিয়মে সঠিক পদ্ধতিতে সহবাস করে তাহলে সহবাসের 10 থেকে 15 দিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায়। কোন কোন নারীর ক্ষেত্রে এটা আরো দেরিতে হতে পারে।

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ - 

মাসিক মিস হওয়া - আপনার মাসে কি হতে হতে যদি হঠাৎ মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী হতে চলেছেন। তাহলে আপনাকে সাথে সাথেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নেওয়া উচিত।

শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি - আপনার শরীরের তাপমাত্রা যদি হঠাৎ বৃদ্ধি পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট বা গর্ভবত। যদি আপনি দেখেন আপনার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে চলেছে তাহলে বুঝতে হবে আপনি পেগনেন্ট। 

সাদা স্রাব - সহবাস করার পর পুরুষের শুক্রাণু মহিলাদের জরায়ু বা ডিম বানাতে গিয়ে আটকে যায়। এই সময়ে রক্তপাতও মাসিক ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আর এগুলো প্রেগনেন্ট বা গর্ভধারণের খুবই প্রাথমিক একটা লক্ষণ। এ ধরনের লক্ষণগুলোকে Implantation bleeding বলে থাকে সাধারণত। এটা প্রেগনেন্সির ৭ থেকে ১৫ দিনের মাঝে হতে পারে।

এ ধরনের ব্যাথাকে অনেক সময় অনেক নারী মাসিকের ব্যথা বলে ভুল করে। কিন্তু আসলে এটা মাসিকের ব্যথা নয়। তাদের খুবই জলদি এই ভুল ভেঙে যাবে কারণ সে করে তাদের জড়ালো থেকে সাদা স্রাব নির্গত হবে তার সাথে রক্ত। এই সাদা স্রাব দীর্ঘদিন ধরে হতে পারে। এ সময় গ্রাম বানু থেকে সাদাস্রাব যোনি থেকে নির্গত হয়। এ সেই নারীর আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এই সময়ে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

তবে যোনি থেকে সাদাস্রাব বের হওয়ার সময় গন্ধ হতে পারে , জ্বালাপোড়া হতে পারে , চুলকানি অনুভূত হতে পারে , এই সময় আপনার একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া আছে বলে আমি মনে করি কারণ আপনার যোনিতে যে কোন সময় ব্যাকটেরিয়া বা ইনফেকশন হতে পারে।

বমি বমি ভাব - সাধারণত বাংলাদেশ বমি বমি ভাব হলে একটি নারীকে গর্ভবতী হয়েছে বলে ধরা হয়। তবে তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমে দেখা যায় অনেক নারী আছে গর্ভবতী হওয়ার এক মাস পরে বমি বমি ভাব দেখা যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪