OrdinaryITPostAd

পেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় - প্রেগনেন্ট হওয়ার লক্ষণ

আপনি যদি পেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় - গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি পোস্টটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে পেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় - গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।


পোস্ট সূচিপত্র - পেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় - গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ 

  • একজন নারী গর্ভবতী হলে করণীয়
  • একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার সময় কি কি খাওয়া উচিত
  • গর্ভবতী মায়ের মানসিক যত্ন

একজন নারী গর্ভবতী হলে করণীয় - 

পৃথিবীর প্রত্যেকটি গর্ভবতী নারীর প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত যত্নের। একজন গর্ভবতী নার ীর জন্য দরকার প্রতিদিন সুষম খাদ্য। এতে মা ও শিশুজনের খাদ্য পূরণ করা যাবে। এ সময় গর্ভবতী নারীর প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার যেমন মাছ ,মাংস,দুধ,ডিম,কলা ,আপেল,কমলা,আঙ্গুর ফল,বেদানা ,কাজুবাদাম,কাঠবাদাম,টকদই ,মিষ্টি,সবুজ শাকসবজি,কচু শাক,পাটি শাক ইত্যাদি।

আরো পড়ুন - সহবাসের কতদিন পর প্রেগনেন্সি বোঝা যায় - প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ

এসব ফলমূল বাজার থেকে কিনে আনার পর কম করে হলেও ৩০ মিনিট পানিতে চুবিয়ে রাখা উচিত কারণ  এতে প্রচুর পরিমাণে ফরমালিন থাকে। এসব ফলমূল খাবার পাশাপাশি আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।

হালকা কাজ - গর্ভবতী প্রত্যেকটি নারীর প্রথম দুই তিন মাস ও শেষের দুই তিন মাস কোন কোন প্রকারের কাজ না করাই ভালো। এই সময় শুধু প্রতিদিন কিছুক্ষণ সময় হাঁটাচলা করতে হবে। গর্ভবতী নারীকে বেশি ভারী জিনিস  বহন করা বা তোলা যাবে না। পিচ্ছিল রাস্তা , পিচ্ছিল সড়ক ও সিঁড়ি পিচ্ছিল দিয়ে ওঠা যাবে না। আর ওঠার সময় সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।

এ সময় একজন গর্ভবতী নারীকে এক দিনে কম করে হলেও ও৩ থেকে ৪ ঘন্টা ও রাতে আট থেকে নয় ঘন্টা ঘুম পারতে হবে। ঘুমানোর সময় গর্ভবতী নারী যেন বাক বা কাত হয়ে যেন শুয়ে না পড়ে। গর্ভবতী নারীকে সবসময় পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন,আরামদায়,ঢিলেঢালা ,সহজে প্রতিধানযোগ্য পোশাক পড়তে হবে।

আরো পড়ুন - ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ভ্রমণ - গর্ভকালীন নারীদের প্রথম তিন মাস ও শেষের তিন মাস ভ্রমণে না যাওয়া উচিত। ভ্রমণ করার সময় রাস্তা উচু নিচু হওয়ার কারণে ঝাকির  সম্ভাবনা থাকে । এতে করে মা ও শিশু দুজনারি বিপদ হতে পারে। গর্ভকালীন সময় সকল জানবাহন বা ভ্রমণ করা স্বাস্থ্য পক্ষে ক্ষতিকর। গর্ভকালীন নারীদের এই সময় সকল যানবাহন থেকে এড়িয়ে চলা উচিত।

গর্ভকালীন সময় আপনি সকালেও বিকালে কিছু সময় স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য, শরীর সুস্থ ও মন প্রফুল্ল রাখার জন্য পদ্মার পাড়,নদীর পাড়,ফুলের বাগান এসব স্থানে ভ্রমন করা উচিত ।

শরীরের বিশেষ যত্ন - গর্ভকালীন সময় নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে। তাছাড়া হাত ও পায়েল পায়ের নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। গর্ভকালীন সময় প্রত্যেকটি মেয়ের দাঁত বেশ নরম হয়ে যায়। তাই মারি ও দাঁত বিশেষ করে যত্ন নিতে হবে। টিটিনাসের ইনজেকশন দিতে হবে  চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে। গর্ভকালীন সময়ে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে যায় তাই এই সময় সব সময় সচেতন থাকতে হবে। এই সময়টাতে হাম চিকেন,পক্স,ছোঁয়াচে সহ সব ধরনের রোগের টিকা দিয়ে রাখতে হবে।

আরো পড়ুন - জমজমের পানি পানির উপকারিতা

বিশ্বের সতর্কতা - গর্ভকালীন সময়ে কোন প্রকারের মানসিক চাপ,আবেগ,দুশ্চিন্তা,ভয়,শোক নিয়ে টেনশন করা যাবে না এতে মা ও শিশুর সমস্যা হতে পারে। এসব গুলো থেকে গর্ভকালীন সময় একটি মাকে দূরে থাকা উচিত। তার জন্য এসব কিছু ভুলে গিয়ে মনকে সবসময় হাসি-খুশি,অনবদন্ত,ফুরফুরে রাখতে হবে। গল্পকালীন সময়ের প্রথম তিন মাস ও শেষ তিন মাস স্বামীর সহবাস থেকে দূরে থাকতে হবে।

কোন প্রকারের মাদক যেমন,মদ,গাঁজা,সিগারেট,ইয়াবা,হিরোইন আইস,কোকিন ব্যবহার করা যাবে না এতে শিশু বিভিন্ন ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া কোন প্রকারের ঔষধ খেতে হলে একজন বিশেষ চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু খাওয়া যাবে না।

একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার সময় কি কি খাওয়া উচিত - 

গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেকটি মেয়েকে ইম্পরট্যান্ট যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত যেমন মাছ,মাংস,ডিম, দুধ,কলা ইত্যাদি খেলে শিশুর মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটায়। শুকনো ফলে যেমন কাজুবাদাম কাঠবাদাম , কলা সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড ও আয়তন যা শিশুর বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে ও মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়তা করে। গর্ভকালীন পৃথিবীর প্রত্যেকটা মেয়ের যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত - 

প্রোটিন যুক্ত খাবার - গতকালীন সময়ে প্রোটনযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন যেমন ডিম , মাছ , মাংস , পাঁচমিশালী ডাল ইত্যাদি খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে শিশুটির।

মাছ - মাছ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। কাতল,বোয়াল,চিতল,সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে রয়েছে ফ্যাটিক অ্যাসিড ও ওমেগা 3। এই খাদ্যগুলো শিশু মস্তিষ্কের বিকাশ এর জন্য একটি বিশেষ খাবার। যেসব মেয়েরা গতকালের সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার খায় তাদের সন্তানদের আইকিউ ও বুদ্ধিমত্তা বেশি থাকে।

ডিম - ডিমের হয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনো ও এমাইনো এসিড। যেটা শিশুর মস্তিষ্কে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও শরীরকে গঠন করতে সাহায্য করে। একজন গর্ভবতী নারীকে দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ সেদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত। ডিমে থাকা প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম এবং আয়রন জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়।

আয়োডিন - গর্ভকালীন সময়ে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন সামুদ্রিক মাছ,মাংস,ডিম,টক দই ইত্যাদি। গর্ভকালীন সময় যদি কোন শিশু আয়োডিন না পায় তাহলে তার আইকিউ কমে যেতে পারে।

সবুজ শাকসবজি - গর্ভকালীন সময়ে ওষুধ পরিমাণে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন পালং শাক,সবুজ শাক, লাল শাক,কচু শাক সাজনি শাক,ইত্যাদি। এসব সবুজ শাকসবজি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড যা শিশুর আইকিউ শিশু মস্তিষ্ক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার - গর্ভকালীন সময় ৩ -৪ মাস থেকে ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটটিক এসিড জাতীয় খাবারের তালিকায় বেশি রাখতে হবে যেমন কুমড়ার বিচি,সামুদ্রিক মাছ, সূর্যমুখীর বিচি এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি আছে।শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ু কোষ গঠনের জন্য ওমেগা 3 অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এর জন্য গর্ভকালীন সময় প্রতিদিন ও মেগা জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার - গরুর মাংস,খাসির মাংস,মাছ,কলিজা এইসব জাতীয় খাওয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। গর্ভকালীন সময়ে যদি কোন মেয়ের ভিটামিন ডি এর অভাবে হয় তাহলে সেই শিশুর মস্তিষ্ক ও শারীরিক বিকাশে বাধাগস্ত হয়। তার জন্য গর্ভকালীন মাকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সকালে সূর্যের আলোয় থাকা খুব প্রয়োজন। এইসব খাবারের পাশাপাশি আপনি দুধ ও দুইয়ে রাখতে পারেন।

কপার ও জিংক - গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকায় সবসময়ই কপার ও জিংক জাতীয় খাওয়া দেখা প্রয়োজন যেমন কাজুবাদাম,কাঠবাদাম,চীনা বাদাম,এভোক্যাড,মটরশুঁটি ইত্যাদি। এসব খাদ্যে থাকা কপাল ও জিঙ্ক গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের সাহায্য করে।

গর্ভবতী মায়ের মানসিক যত্ন - 

পৃথিবীর প্রত্যেকটা স্ত্রীকে গর্ভকালীন সময় যত্ন নেওয়া উচিত। এ সময়তে তাকে কোনভাবেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা উচিত নয়। এতে গর্ভে থাকা শিশুর অনেক খারাপ অভাব পরে। তার জন্য স্ত্রী গর্ভে সন্তান আসার পর কোন প্রকারের মানসিক চাপ বা টেনশন দেওয়া উচিত নয়।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪