OrdinaryITPostAd

ওয়ালেট নাম্বার কি - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি

আপনি যদি ওয়ালেট নাম্বার কি ,ই - ওয়ালেট মানে কি ,ই-ওয়ালেট কিভাবে কাজ করে ,আপনার ওয়ালেট মানে কি ,বিকাশ ওয়ালেট মানে কি ,বিকাশ ওয়ালেট কিভাবে খুলতে হয় , নগদ ওয়ালেট মানে কি ,নগদ ওয়ালেন্ট কিভাবে খুলবেন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। 

আমি বলছি আপনি যদি পোস্টটি পড়া সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে ওয়ালেট নাম্বার কি ,ই - ওয়ালেট মানে কি ,ই-ওয়ালেট কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র - ওয়ালেট নাম্বার কি - ই -ওয়ালেট মানে কি

  • ওয়ালেট নাম্বার কি
  • ই -ওয়ালেট মানে কি
  • ই-ওয়ালেট কিভাবে কাজ করে
  • বিকাশ ওয়ালেট মানে কি
  • সোনালী ব্যাংকে ই -ওয়ালেট ব্যবহারের নিয়ম এবং সুবিধা ও অসুবিধা
  • সোনালী ব্যাংকে ই -ওয়ালেট ব্যবহারের পূর্বশর্ত 

ওয়ালেট নাম্বার কি - 

একটি ওয়ালেট ঠিকানা হচ্ছে একটি অগোছালো ভাবে তৈরি করা সংখ্যা ও অক্ষর গুলির সেট। এই অক্ষর গুলির সেটে সাধারণত ২৬ - ৩৫ একটি আলফানিউমেরিক অক্ষর রয়েছে। একটি ওয়ালেন্ট নাম্বারের ঠিকানা আদর্শ ভাবে একটি ওয়ারেন্ট দ্বারা তৈরি একটি এককালীন লিংক। ডিজিটাল সম্পদ গ্রহণ করতে ডিজিটাল সম্পদ পাঠাতে ওয়ালেট ঠিকানা বা লিংক প্রয়োজন।আসলে ডিজিটাল সম্পদ কোন প্রকারের মানিব্যাগে সংরক্ষণ করা যায় না।

ই -ওয়ালেট মানে কি - 

ই ওয়ালেট হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কোন কিছু কিনতে পারবেন এবং ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। সবার প্রথমে আপনাকে একটি ই -ওয়ালেট সেক্টরে গিয়ে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। এরপর আপনি ঘরে বসেই অর্ডার ও টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন।

আজকাল আমরা সব ধরনের পেমেন্টটি ই ওয়ালেট বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি।যেটা কোন প্রকারের ঝামেলা ছাড়াই কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে টাকা পাঠানো যায়। তাছাড়া আমরা অনলাইনে শপিং করার সময়ও ই পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে পারি। যেটা আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ডাইরেক্ট পেমেন্ট হয়ে যায়।

222আরো পড়ুন - বিদেশ থেকে দেশে অনলাইনে মাধ্যমে টাকা পাঠানোর দ্রুততম মাধ্যম

চলুন বন্ধুরা আজকে আমরা কিছু এমন কয়েকটি ওয়ালেটের  এর মাধ্যম বলি যার মাধ্যমে আপনি খুবই দ্রুততা সাথে পেমেন্ট করতে পারবেন।Ola Money,Citrus,Payu Money,Mobikwik, Oxigen, Freecharge,Paytm। এগুলো মাধ্যম দিয়ে আপনি ঘরে বসে পৃথিবী যে কোন পণ্য আপনি কিনতে পারবেন।

বাজারে যেমন নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। আমরা ঠিক তেমন সমাজের পরিবর্তন দেখেছি। আজ থেকে বিশ বছর আগের কথা ধরা যাক আমরা সেই সময় ঠিকমতো ফোন কি ,ফোন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা জানতাম না। কিন্তু আজকে আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত তথ্য ঘরে বসে থেকে পেয়ে  যাচ্ছি এবং ঘরে বসে খুব সহজে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের পণ্য খুব সহজেই আমরা কিনতে পারছি।

ই-ওয়ালেট কিভাবে কাজ করে - 

ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ডেভিডও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন থেকে যে কোন কিছু ক্রয় করতে পারবেন এবং টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন। তার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ই- ওয়ালেট সাইটে সবার প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই অ্যাকাউন্টে ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডে আপনার সমস্ত তথ্য দিয়ে লগইন করে রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে ই- ওয়ালেটে একাউন্ট তৈরি করতে আপনার কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না। শুধু আপনার যে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা আছে সে ব্যাংকে ডিটেলস বা তথ্য লাগবে। আপনি এই ই- ওয়ালেটের অ্যাপস আপনি গুগল প্লেস্টোরে পেয়ে যাবেন একদম বিনামূল্যে।

বিকাশ ওয়ালেট মানে কি - 

আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও সালাম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে বিকাশ একাউন্ট নিয়ে আলোচন করব। বিকাশ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি উদ্যোগ যেটা বাংলাদেশ ব্যাংকে পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে নিবন্ধন করা হয়েছে।১০,০০০ হাজারের বেশি প্রতিনিধি রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। যারা মোবাইলের মাধ্যমে মানুষকে সেবা দিয়ে থাকে।

কিভাবে নিবন্ধন করবেন নিবন্ধন হচ্ছে একটি সহজ প্রক্রিয়া। আপনিও খুব সহজে বিকাশের পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। মুহূর্তের মধ্যে আপনি নিমন্ত্রণ করতে পারবেন banglalink ,grameenphone, robi, গ্রাহকরা। অন্যান্য অপারেটর বা ডিভাইসের মাধ্যমে দেয়া হোক বিকাশ ব্যবহার করতে পারবেন। 

আরো পড়ুন - ই -পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

আপনি সাধারণত দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহক হিসাবে নিবন্ধন করতে পারবেন।আপনি শুধু একটি ফরম পূরণ করলেই বিকাশ এজেন্টের লোক আপনার বাড়িতে গিয়ে আপনার নিবন্ধন গ্রহণের জন্য আসবে।

বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনি যে যে কাজগুলো করতে পারেন - 

  • আপনি সবার প্রথমে বিকাশের প্রতিনিধি বা এজেন্ট এর কাছে যান
  • আপনার স্বয়ংক্রিয় রবি,এয়ারটেল,গ্রামীণফোন ,বাংলালিংক  নাম্বার ও মোবাইল নিয়ে যান।
  • আপনার পাসপোর্ট সাইজ ছবি,ভোটার আইডি কার্ড,পাসপোর্ট,ড্রাইভিং লাইসেন্স,নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট আর অন্যান্য কাগজ পাতি নিয়ে যেতে হবে।
  • নিবন্ধন শেষ করার পর আপনার ওয়ালেট একাউন্ট সক্রিয় করতে হবে

  • এ সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য আপনি বিকাশ এজেন্টে কে বিকাশ নিবন্ধন করার জন্য আপনি সম্পূর্ণ সাহায্য করবেন। তারপর আপনি আপনার ফোনে একটি এসএমএস পাবেন।

এবার আপনি মনোযোগ দিয়ে দেখুন ভাবে আপনি ওয়ালেট বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করবেন -

  • আপনি সবার প্রথমে একজন বিকাশ এজেন্ট এর কাছে যান।
  • তাকে জানান আপনি কত টাকা জমা রাখবেন ।
  • তারপর আপনি ওয়ালেট নাম্বার এবং টাকার পরিমাণ  এজেন্ট রেজিস্টারে লিখে রাখুন।
  • এবার টাকাটা এজেন্টের হাতে তুলে দেন।
  • এবার খুবই বিকাশ এজেন্ট আপনার ওয়ালেট নাম্বারে টাকা জমা দিয়ে দেবে ।
  • আপনি এবং বিকাশ এজেন্ট উভয় নিশ্চিত করন এসএমএস পাবেন।
  • আপনি বিকাশ এজেন্ট এর কাজ থেকে আসার আগে বিকাশ এজেন্ট আপনার রেজিস্টার খাতায় আপনি সাক্ষ্য নিয়ে নিবেন।

  • আপনার যদি টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি যেকোন পান্তে থেকে যেকোনো সময় বিকাশ ওয়ালেট এর মাধ্যমে আপনি নগদ টাকা তুলতে পারবেন অনায়াসে। 

বিকাশ ওয়ালেট থেকে নগদ টাকা তুলতে নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করুন - 

  •  সবার প্রথমে আপনি একজন বিকাশ এজেন্টের কাছে যান।
  • আপনি কত টাকা উঠাতে চান এজেন্ট কে জানান।
  •  আপনার বিকাশ ওয়ালেট নাম্বারটা পরিমাণ নিবন্ধনে লিখে রাখুন।
  • আপনার মোবাইল থেকে*২৪৭# ডায়াল করুন বিকাশ মেনুতে।
  • ক্যাশ আউট নির্বাচন করুন ।
  • কোন এজেন্ট থেকে টাকা তুলবেন সেটা নির্বাচন করুন।
  • ওয়ালেট নাম্বার লিখুন
  • টাকার পরিমান লিখুন
  • ওয়ালেট পিন দিন

উঠানো সম্পন্ন হয়ে গেলে এজেন্ট এবং আপনি উভয়ই নিশ্চিত করন এসএমএস পাবেন। টাকা উঠানো হয়ে গেলে টাকার পরিমাণ এবং নিবন্ধনে আপনি স্বাক্ষর করুন।

সোনালী ব্যাংকে ই -ওয়ালেট ব্যবহারের নিয়ম এবং সুবিধা ও অসুবিধা

সোনালী ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক  ব্যাংক যেটা ই - ওয়ালেট এর মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকে। এই অপারেটর মাধ্যম দিয়ে আপনি টাকা পাঠানো ,এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানো ,মোবাইল সিম রিচার্জ করা ও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের ই।-ওয়ালেট সেবা ব্যবহার করে থাকেন তাহলে প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে নোটিফিকেশন দেয়া হবে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ইলেকট্রনিক গেটে চালু করেছেন। আপনি সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেট ব্যবহার করে আপনি দেশ থেকে বিদেশে টাকা লেনদেন করতে পারবেন খুব সহজে। এই মাধ্যমকে সোনালী ব্যাংকের ই- ওয়ালেট বলা হয়ে থাকে।

সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেটের মূলত পাঁচটি সেকশন আছে। আপনি যদি এ মোবাইলের অ্যাপটি চালানোর জন্য এই পাঁচটি সেকশন পড়ে নেন তাহলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ব্যাংকের একাউন্ট এর সাথে সরাসরি সংযুক থাকবে। এই অ্যাপটি মূলত অর্থ নিয়ন্ত্রণের বা লেনদেনের সাথে সম্পর্কিত। তাই এটিকে আমরা সবসময় সঠিক ভাবে ব্যবহার করার  চেষ্টা করব।

সোনালী ব্যাংকে ই -ওয়ালেট ব্যবহারের পূর্বশর্ত -

সোনালী ব্যাংকে ই -ওয়ালেট ব্যবহার করতে বাংলাদেশের জনগণের সাধারণত তিন ধরনের শর্ত পালন করতে হবে। এই তিন ধরনের পূর্ব শর্ত না পালন করলে আপনি সোনালী ব্যাংকের কোন মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন না।

ব্যাংক একাউন্ট - সোনালী ব্যাংকে ই-ওয়ালেট অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য একটি সক্রিয় অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না থাকলে আপনি সোনালী ব্যাংকের কোন অ্যাপস বা কোন সেবা পাবেন না। তাছাড়া সোনালী ব্যাংকে আপনি ই ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন না।

সফটওয়্যার ও হার্ডওয়ার শর্ত - সোনালী ব্যাংকের ই- ওয়ালেটব্যবহারের ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। এই সকল নিয়মকানুন মেনে না চললে আপনি শত চেষ্টা করার পরও সোনালী ব্যাংকের ই -ওয়ালেট অ্যাপস ব্যবহার করতে পারবেন না।সোনালী ব্যাংকের ইউ ওয়ালেট অ্যাপস ব্যবহার করতে হলে সবার প্রথম আপনাকে মোবাইলে ই - ওয়ালেট অ্যাপসটি মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে।

সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেটস অ্যাপসটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করতে এন্ড্রয়েডের সর্বনিম্ন ভার্সন এন্ড্রয়েডের ৪.৫ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনি iphone ব্যবহার করতে চান তাহলে আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন ৯.০ ব্যবহার করতে পারেন।

ইন্টারনেট কানেকশন - যদি আপনি সোনালী ব্যাংকের ই ওয়ালেট অ্যাপসটি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আপনি অনলাইনে মাধ্যমে ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করবেন তাই অবশ্যই আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪