OrdinaryITPostAd

দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় -`দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনি যদি হরমোন সামঞ্জস্যের কারণেও এ রোগ হয় কি,মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও মাড়ি ফোলা দুটো কি একই বিষয়  ,বাচ্চাদের মাড়ি কেন ফোলে,দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কেন`,দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া রোধ করার ঘরোয়া উপায় ,কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে ,দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান।

তাহলে এই পোস্টে আপনার জন্য আপনি যদি পোস্টটি পড়া সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় -`দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


পোস্ট সূচিপত্র - দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় -`দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

হরমোন সামঞ্জস্যের কারণেও এ রোগ হয় কি - 

হরমোন সামঞ্জস্যের কারণেও এ রোগ হয় কি ? হ্যাঁ নিশ্চয়ই আমি বলব হয়। বিশেষ করে যারা ছোট কিংবা তরুণদের শরীরে নতুন ধরনের হরমোন আসে। যখনই কোন শিশু বা তরুণের শরীরে হরমোন নিঃসরিত হয়, তখনই মারি একটু একটু করে ভুলতে থাকে। অনেক মানুষ আছে যারা ভুল বুঝে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।

আরেকটি হল প্রেগন্যান্সির সময়। প্রেগনেন্সির সময়ও আমাদের শরীরে হরমোন নিঃসরিত এ সময় প্রেগন্যান্সি মহিলার দাঁতের মাঝে ফুলে যায়। এ সময় প্রেগন্যান্সি মহিলার জিনজিভায়টিস হয়ে থাকেন। এক পরীক্ষায় দেখা গেছে। শরীরে হরমোন নিঃসরণের কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে।এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। 

আরো পড়ুন - স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ - স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক চিকিৎসা

এই সব সমস্যার জন্য হরমোন দায়ী। আর ডাক্তারকে এটিকে বলে প্রেগন্যান্সি জিনজিভায়টিস।প্রেগনেন্সি সময় টাতে মুখ পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরী। তবে একটা জিনিস অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন প্রেগনেন্সির সময় দাঁতের মাড়ি প্রবাহ না হয়। আর প্রেগনেন্সির সময় আরেকটি বড় উপসর্গ হলো ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েসি।

আমেরিকাতে প্রতিষ্ঠান ওরাল হেলথ ভিটামিন ডি নিয়ে কাজ করে। সেই গবেষণা দেখা গেছে, যাদের ভিটামিন ডি ডেফিসিয়েসি থাকেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম দাঁত শিরশির করা,চামড়া পরিবর্তন হওয়া,দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদি। এর জন্য আমি বলব প্রতি বছর অন্তত একবার করে হলেও ভিটামিন ডি টেস্ট করা উচিত আমাদের সকলকে।

তাছাড়া আমেরিকায় সেই গবেষণা দেখা গেছে,১৬-৩২ বছর বয়সি ৩০০ জন নারীর মধ্যে ২৯০ জন নারী ভিটামিন ডি রোগে আক্রান্ত। আসলে তাদের মধ্যে ভিটামিন ডি ইন্সাফিয়েন্সি রয়েছে। আসলে ভিটামিন ডি ইন্সাফিয়েন্সি কোন নারী শরীরে দেখা দিলে তার মা হওয়া সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। স্বাভাবিক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা দেখা দেয়। হাঁটতে চলতে অনেক অসুবিধা হয়। চুল পড়ে যায়। হাত ও পায়ের নখ ভেঙ্গে যায়।

অনেক সময় ডাক্তার ও বুঝতে পারি না এটা কি ভিটামিন ডি নাকি কেভিটির মত সমস্যা। দেখা যায় অনেক জায়গা ব্লক করে ফেলেছে। তার কোন রুট ক্যানেলের দরকার ছিল না। কিন্তু দরকার ছিল ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট সেটা একবার দিলে হয়ে যেত। আমরা ডাক্তারের পরামর্শে সেনসোডাইন এন্ড প্রেটেক্ট টুথপেস্ট আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি।

তোদের মাটির যাবতীয় সমস্যা দূর করার জন্য বাজারে চলে এসেছেন নতুন আর একটা প্রোডাক্ট তার নাম হলো প্যারাডোনটক্স । এটা মানব শরীরে অনেক ভালো কাজ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন, ডায়াবেটিকস ও সেনসিভিটি দুটোই সিমিলার ডিজিস। এটা যদি আপনার মারিতে বেড়ে যায় তাহলে অন্য সব সমস্যা বেড়ে যায়।

মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও মারি ফোলা দুটো কি একই বিষয়  -

আমাদের সকল মনে একটাই প্রশ্ন তাদের মাঝে থেকে রক্ত পড়া ও দাঁতের মাড়ি ফোলা কি একই বিষয়? আমি বলব দাঁতের মাড়ী থেকে রক্ত পড়া ও দাঁতের ফোলা দুটো একই বিষয় নায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে হলে রক্তপাত না হতে পারে। আবার রক্ত পাত হলে মারি না ও ফুলতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় এ দুইটা আলাদা আলাদা ভাবেও হতে পারে। এর জন্য আমাদের সকলকে সঠিক কারণটা জানা খুব প্রয়োজন।

আরো পড়ুন - থাইরয়েড বা টনসিল থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

আবার আমাদের মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেটা হল ডায়াবেটিসের কারণে কি রোগ হতে পারে। আসলে ডায়াবেটিকস দিয়ে রোগ বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। আবার এ রোগ বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসের বেড়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আপনাকে প্রতিদিন দুটো বিষয় নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে।

বাচ্চাদের মারি কেন ফোলে - 

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দাঁতের মাড়ি ফোলা ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রোগটা বেশি দেখা যায়। যেটাকে বলে পালপাইটিস। এক্ষেত্রে বাচ্চাদের মাকে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকতে হবে। প্রেগনেন্সির নয় মাস মাকে পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য খেতে হবে। শিশুটির মুখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তার সাথে বাচ্চার খাবার আগে ও পরে মুখ ভালো করে ধুতে হবে।

দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় কেন -

দাঁত শুধু আমাদের খাবার চিবানোর কাজেই সাহায্য করে না দাঁত ,আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কিন্তু আমরা যখন সকালে ব্রাশ করি তখন দাঁত ব্যথা,দাঁতের মাড়ি ফোলা,দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে। যার প্রধান কারণ হলো দাঁতের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা। আসলে দাঁতের প্রধান রোগের লক্ষণ হল দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত বের হওয়া।

আরো পড়ুন - ক্যালসিয়াম ডি ট্যাবলেট খাবার উপকারিতা

যার ফলে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়া,নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ,এর মত নানান সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় আমাদের প্রতিদিন। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে বিরাশ করার সময় এই একই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনি এই পোস্টটি সম্পন্ন করতে থাকেন তাহলে দাঁতের সমস্যা সকল খুঁটি নাটি জানতে পারবেন।

দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর  ঘরোয়া উপায় - 

বিভিন্ন কারণে দাঁতের মাড়ি ফুলে ও পড়ে ব্যাথা করতে শুরু করে ।দাঁতের মাড়ি ফুলা রোধ করে দ্রুত আরামের জন্য রয়েছে নানান এরকম ঘরোয়া উপায়। চলুন বন্ধুরা জেনে আসি কিভাবে দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর যাবে - 

হলুদ - হলুদের রয়েছে পশুর পরিমাণে কারকীউম্যান যেটা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও নানান উপাদানের সমৃদ্ধ। এই উপাদান গুলো দাঁতের মাড়ির র ব্যথা ও ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। আবার শরীরে যদি কোন জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বা ঘা তৈরি হয় এই সকল সংক্রমণ কমিয়ে আপনাকে সুস্থ করতে সাহায্য করে।

সামান্য পানির সঙ্গে দুই থেকে তিন চা চামচ পরিমাণ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে এই মিশ্রণ দিয়ে আপনার  যে জায়গায় আক্রান্ত হয়েছে সে জায়গায় আলতো ভাবে মালিশ করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

টি ব্যাগ - টি ব্যাগে থাকা ট্রেনিনে আছে মারির ব্যথা ও  ফোলা কামনের ক্ষমতা। একটি ব্যাগের এন্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভেতরের সমস্ত সমস্যাকে দূর করে দেয়। একটি t ব্যাগ নিয়ে ফুটন্ত পানির মধ্যে দুই থেকে তিন মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর এটি তুলে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হতে দিন। এরপর টি ব্যাগ গরম করা পানি খেয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন খেলে আশা করা যায় আপনার মাড়ির যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

তেল ব্যবহার - দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর বা অন্যান্য মুখের সমস্যা সমাধানে তেল ব্যবহার করা বেশ কার্যকরী। আসলে এটি একটি পরীক্ষিত বিশ্বস্ত পদ্ধতি। এই সনাতন পদ্ধতি মুখের ভেতর যাবতীয় সমস্যা ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে মুখের প্লাক ও মারি সুস্থ থাকবে চিরকাল।

২ থেকে ৩ চা চামচ খাঁটি সরিষার তেল মুখে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর দাঁত ব্রাশ করুন। এতে আশা করা যায় দাতে যাবতীয় সমস্যা দূর হয় যাবে।

টি টি তেল - টি টি তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিবায়োটিক ও এন্টি অক্সিডেন্ট নানান উপাদান যেটা দ্রুত দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর কমাতে সাহায্য করে। প্রথমে এক গ্লাস গরম পানিতে দু থেকে তিন ফোটা টি টি তেল নিশিতা মুখের মাউথ ওয়াশ হিসাবে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। তবে একটা বিষয় সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যেন এ তেল পেটের ভেতর না চলে যায়। এটা যদি একবার পেটের ভেতর চলে যায় তাহলে পেটে নানা সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুন - শুকনো কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়

জোয়ানের বীজ - জোয়ান বীজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থাইমল অনুভূতিনাশক আনতে পারে। জোয়ান বীজ আসলে এন্টিবায়োটিক্যাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। আপনাকে সবার প্রথমে জোয়ান বীজ হালকা করে চালুন দিয়ে চেলে নিতে হবে যেন সুগন্ধি বের হয়ে যায়। এরপর এটিকে গুড়া করতে হবে।

এরপর এর মধ্যে দুই থেকে তিন চা চামচ খাঁটি সরিষার তেল মিশিয়ে এটিকে ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর আপনার মাড়ি যে স্থানে ব্যাথা সেই স্থানে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আশা করা যায় এতে আপনার দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমে যাবে বলে আমি মনে করি।

দাঁতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর ওষুধ - 

  • LEBAC-500
  • MOXIKIND- CV 625
  • ZERODEL-SP 1 MG
  • PANTOP-40
  • HEXIDINE 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪