OrdinaryITPostAd

ইসলামে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ

 

আপনি যদি ইসলামে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ  - ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ার সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনি জন্মদিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।




পোস্ট সূচিপত্র - ইসলামে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ  - ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি জায়েজ 

ইসলামে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ -

জন্মদিন পালনের প্রবণতা সবার মাঝে একটু বেশি থাকে। ধনী হোক বা গরীব ফকির হোক বা মিসকিন জন্মদিনের দিনটা পালন না করলে যেন তাদের মনের শান্তি ও পেটে ভাত হজম হয় না। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আছে যারা শুধু মানুষের জন্মদিন পালন করে। কিন্তু অনেক প্রভাবশালী বিত্তশালী আছে যারা তাদের পোষা কুকুরটিও জন্মদিন পালন করে থাকে।

এই দিনটা তারা নানান আয়োজন পালন করে থাকে যেমন বন্ধু-বান্ধবকে নিমন্ত্রণ করে,আত্মীয়-স্বজনকে নিমন্ত্রণ করে,সারা দিন রাত আনন্দ উল্লাস করে,সারা রাত মদ পান করে,নর্তকী নিয়ে এসে আনন্দ ফুর্তি করে,ইত্যাদি।

আরো পড়ুন - জমজম কূপের পানি পানির ফজিলত

শুরু থেকেই কেক কেটে জন্মদিন পালনের উৎসব করা হয় পশ্চিমা দেশগুলোতে যেমন অস্ট্রেলিয়া , আমেরিকা,কানাডা,রাশিয়া ,লন্ডন ইত্যাদি। আর জন্মদিন পালনের সূচনা শুরু হয় ফেরাউনের যুগ থেকে। বাইবেলের বুক অফ জেনেসিসে এসেছে যে, ফেরাউনের জন্মদিন ছিল তৃতীয় দিনটা। ফেরাউন তার সব আত্মীয়-স্বজন , দাস-দাসী দের জন্য ভোজনের আয়োজন করলেন। শেষ সময় ফেরাউন কারাগার থেকে মুক্তি করে দিলেন রুটি ওয়ালা, ও খাদ্য দব্য পরিবেশনকারী কে (আদি পোস্ত- ৪০২)।

তাই বোঝা যায়, জন্মদিন পালনের উদ্ভব বা উৎসব ঘটেছে ফেরাউনের যুগ থেকে। ইসলামে সাথে জন্মদিন পালনের কোন সম্পর্ক বা ভিত্তি নেই। জন্মদিন পালনের যদি নিয়ম-কানুন ইসলামে থাকতো, আর তাহলে সাহাবী কেরাম (রা), আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), সহি বুখারি , সহি হাদিস , পবিত্র কোরআন শরীফ জন্মদিন পালনের সত্যতা ও প্রমাণ মিলিত। 

নবী রাসুলরা জন্মদিন পালন করা তো দূরের কথা, আর তারা জন্মদিনের নাম শুনলেও ভয় পেত। এবং তারা কবে জন্মগ্রহণ করতেছে তা তারা মুখে মানতো না। তাছাড়া আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রবিউল আউয়াল মাসে কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছে তা অনেকে জানে না বা অনেকেরই মতভেদ রয়েছে। জন্মদিন পালন করা নিঃসন্দেহে অপকর্ম ও এটি ইসলামের শরীয়তসম্মত না।।

কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো , জন্মদিনে কথা বলে ফেসবুকে পোস্ট করা , বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন নিয়ে উৎসব করা, আয়োজনে বিশেষ করে দোয়া ও মাহফিল , ছোট বড় সবাই মোমবাতি জ্বালিয়ে মোমবাতিতে ফু দিয়ে নেভানো , সবার শেষে কেক কেটে খাওয়ানো এটা কোন ইসলাম ধর্ম হতে পারে না। আর আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ  (সাঃ),এভাবে কোনদিন আমাদের এভাবে কোন উৎসব পালন করতে বলে নাই এবং এটা সঠিকসম্মত না। এভাবে জন্মদিন পালন করলে পেতে হবে কঠিন শাস্তি।

আরো পড়ুন - খাবার আগে বিসমিল্লাহ বলার ফজিলত

হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে,আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির অনুসরণ করবে হাতে -হাতে এবং বিঘত -বিঘতে সমপরিমাণ। এমনকি তোমাদের পূর্বপুরুষ যদি সাপের গর্তে প্রবেশ করে, তাহলে তোমরাও তাদের পেছনে পেছন সাপের গর্তে যাবে। সাহাবায়ে কেরাম বলেন, হে আমাদের প্রিয় রাসু্‌ আপনি কি আমাদেরকে ইহুদি ও নাসারাদের অনুসরণ করার কথা বলছেন? নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন, 'তবে আর কার' (বুখারী শরীফ- ২৬৬৯)।

আর অন্য একটি হাদিস এসেছে,আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন ,যে ব্যক্তি যে জাতির অনুসরণ ও নমুনা অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সে জাতির দলভুক্ত (সহিহুল জামে হাদিস- ৬০২৫)।

নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আরো বলেন, 'যে ব্যক্তি আমার দলভুক নয়, যে ব্যক্তি আমাদের ছেড়ে অন্য কোন জাতিকে অনুসরণ বা অন্য জাতি কে অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদীদের অনুসরণ ও অনুকরণ করো না', আর তোমরা খ্রিস্টানদের অনুসরণ ও অনুকরণকরো না। (সিলসিলাহ হাদিস-২১৯৪)।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তোমরা তোমাদের প্রতিপালন বা তোমাদের পিতা-মাতা পক্ষ থেকে অবতীর্ণ করা হয়েছে আর তার অনুসরণ ও অনুকরণ করো। তাদেরকে বাদ দিয়ে অন্য কারো অনুসরণ ও অনুকরণ করো না। আর তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করো।' (সূরা আরাফ-৩)।

জন্মদিন,মৃত্যুবার্ষিকী,চল্লিশা,মৃত্যু দিবস,শোক দিবস সহ যত দিবস আপনি পালন করেন, তাদের সাথে ইসলামের কোন প্রকারের সম্পর্ক নেই। এগুলো শুধু নির্লজ্জপনা ,জাহেলিয়াতী এবং বিজাতীয় অপসংস্কৃতি মাত্র।

অতএব জন্মদিন পালন করা,জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো,জন্মদিনের উৎসবে কার্ড পাঠানো, ইত্যাদি পালন করা সবই ইসলামের নিষিদ্ধ।আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায় বা বিধর্মী দৃশ্য অবলম্বন অনুসরণ করে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে' (আবু দাউদ -৪৩৪৭)

আসলে জন্মদিনের আনন্দ উৎসব করা জন্মদিনে কেক কাটা এগুলো আসলেই বোকামি করা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। তাছাড়া আপনার জীবন থেকে একটি বছর চলে গেলে তার জন্য আক্ষেপ ও দুঃখ করা উচিত, আনন্দ উৎসব নয়। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফে বলে দিয়েছেন আমাদের কোন কাজ করা উচিত কোন কাজ করা উচিত নয়।

জন্মদিন পালন করা কি শিরক -

আমাদের মনে একটাই প্রশ্ন জন্মদিন পালন করা কি শিরক না কুফরি। আসলে জন্মদিন পালন করা শিরক বা কুফরী কোনটাই নয়। এগুলোর মধ্যে আল্লাহর হকের কোন ক্ষতি সাধন হয় না। তার জন্য জন্মদিন পালন করা শিরক বা কুফরি বলার কোন সুযোগ নেই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪